যুদ্ধের দামামার মধ্যে হঠাৎ সক্রিয় রাশিয়াপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৪৬

ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের মধ্যে হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠেছে রাশিয়াপন্থী সক্রিয় গোষ্ঠীরা। তাদের বিরুদ্ধে গোলাগুলি ও মর্টার বর্ষণসহ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে বলে আশক্সক্ষা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা।

আল জাজিরা জানায়, শুক্রবার সকালে বিদ্রোহী গ্রাম পেট্রোভস্ককে লক্ষ্য করে রাশিয়া সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীরা মর্টার ও গোলা বর্ষণ করে।

ইউক্রেনও শুক্রবার সকালে চারবার মর্টার হামলার কথা জানিয়েছে। তারা আশক্সক্ষা করছে, পাল্টা প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হতে পারে। পরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করতে পারে।

গত আট বছর যাবত কেভিব এবং সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত বিরাজমান। উভয়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি একটি নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু চলতি সপ্তাহে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

পশ্চিমা সামরিক জোট-ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা শুরু হয়। প্রায় দেড় লাখ রুশ সেনা ইউক্রেনের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। বেলারুশের সঙ্গে দশ দিনের সামরিক মহড়াও করেছে দেশটি।

সংঘাতের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে পশ্চিমা মিত্ররা। যদিও এ আলোচনাকে কার্যকর হিসেবে মানতে নারাজ রাশিয়া।

আলোচনার পথ আরো প্রশস্ত করতে কিছু সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি করলেও পশ্চিমা শক্তিরা তা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সেনা সরানোর পরিবর্তে উল্টো আরও সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। যেকোনো সময় মিথ্যা অজুহাত দিয়ে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে রাশিয়া।

এর আগে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে পশ্চিমারা। কানাডা ইউক্রেন থেকে কিছু সেনা সরিয়ে নিয়েছে। জার্মানিও ট্যাংক পাঠাবে না বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পোলেন্ডে সেনা পাঠিয়েছে। তারা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে না। শুধুমাত্র পোল্যান্ডে অবস্থান করে মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, রাশিয়ার সেনারা মাত্র চারদিনের মধ্যে ইউক্রেন দখল করতে পারবে। ফলে, ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া। তখনও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হলেও আদৌতে কিছুই হয়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে কখনো ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান করবে না, এর নিশ্চয়তা পশ্চিমাদের দিতে হবে। যদিও এখনো এ ধরনের কোনো নিশ্চয়তা ন্যাটোর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/আরআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :