গুরুতর সেই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন কবির বকুল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২২, ১১:৪১ | প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০২২, ১০:৪১

চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত এবং সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির গীতিকার হিসেবে এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন কবির বকুল। যেটি গেয়েছেন ইমরান ও কণা। গানটির জন্য ইমরানও পেতে চলেছেন সেরা গায়কের জাতীয় পুরস্কার।

অভিযোগ, এই গানটির শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার ‘রাতের সব তারা আছে দিনের আলোর গভীরে’ থেকে ‘আলো’ শব্দটি বাদ দিয়ে বাকিটুকু হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য গীতিকার কবির বকুলের বিরুদ্ধে কবিতার লাইন নকলের অভিযোগ উঠেছে।

সমালোচকদের বক্তব্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা থেকে এক বা দুই লাইন যিনি নিজের বলে চালিয়ে দিয়েছেন, তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতে পারেন না। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণার পর থেকেই এ নিয়ে বিতর্ক শুরু।

অবশেষে মুখ খুললেন কবির বকুল। নির্মলেন্দু গুণের ‘আমি কি ডরাই সখি, ভালোবাসা ভিখারি, বিরহে?’সহ কয়েকটি কবিতার লাইন তুলে ধরে তার বক্তব্য, ‘অমর লেখা থেকে ‘অনুপ্রেরণা’ নেওয়াই যায়। আধুনিক কবিতা বা গীতিকবিতায় ক্লাসিক বা ধ্রুপদী রচনা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করা একটা স্বীকৃত রীতি।’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা কীভাবে নিজের কবিতায় ব্যবহার করেছিলেন কবি বিষ্ণু দে- সে প্রসঙ্গেও কবির বকুল একটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন।

রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘এতদিন পরে প্রভাতে এসেছো/ কী জানি কী ভাবি মনে/ ঝড় হয়ে গেছে কাল রজনীতে/ রজনীগন্ধাবনে’ মাথায় রেখে বিষ্ণু দে লিখেছিলেন, ‘কাল রজনীতে ঝড় হয়ে গেছে রজনীগন্ধা-বনে/ বৈশাখী মেঘ মেদুর হয়েছে সুদূর গগনকোণে।’

সব শেষে কবির বকুল বলেন, ‘রাতের সব তারা আছে দিনের আলোর গভীরে’- এটা যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইন, তাও কি বলে দিতে হবে?’

এদিকে, বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী কয়েকদিন আগে কবির বকুলের এই গান রচনাকে ‘অন্যায়’ বলেছিলেন। সম্প্রতি তিনি সেই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

জাফর রাজা বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বে এখনও ব্রিটিশ কপিরাইট আইনটিকে সবাই ফলো করার চেষ্টা করেন। সেই আইনের ৩১ নম্বর সেকশনে আমি এই বিতর্কের একটা সুরাহা পেলাম। অধ্যায়টির নাম ইনসিডেন্টাল ইনক্লুশন। ঘটনাক্রমে কোনও একটা কিছু কোথাও মিলে যায়, তবে সেটা কপিরাইট লঙ্ঘন হবে না। যদি না তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কবির বকুল নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানহানির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাজটি করেননি। এটি ওই কবিতা বা লাইনের প্রতি অতি-মুগ্ধতা থেকেই হয়েছে বলে মনে করি। কপিরাইটের ভাষায় এটাকে আমরা বলি ‘ফেয়ার ইউজ’।

ঢাকাটাইমস/৩ মার্চ/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :