নড়াইলে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ সামিউল আলম শরফুকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তরিকুল ইসলাম। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তাকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদরের গোয়ালবাথান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
লোহার রডের আঘাতে শরফুর কয়েকটা দাত ভেঙে গেছে। হাত, পা ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের আঘাতে কেটে ও ফেটে গেছে। আহত শরফুকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে আ.লীগ নেতা শরফু স্থানীয় চালিতাতলা বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সৈয়দ তরিকুলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তরিকুল, তার ভাইসহ কয়েকজন শরফুর ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা তার মাথায়, পায়ে এবং মুখে রড দিয়ে বেধড়ক পেটায়। বিগত ইউপি নির্বাচনে সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে আ.লীগ থেকে প্রথমে মনোনয়নের ঘোষণা আসে সৈয়দ তরিকুলের নামে। পরে সেটা পরিবর্তন হয়ে আজিজুর রহমান ভূইয়া মনোনয়ন পান। এতে শরফুর ওপর ক্ষিপ্ত হন সৈয়দ তরিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকেরা। তার জের ধরে এই হামলা হয়েছে বলে শরফুর অভিযোগ।
আহত আ.লীগ নেতা শরফুর ভাই সৈয়দ জাফরুল হাসান বলেন, তার ভাইকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একা পেয়ে আক্রোশবশত তরিকুলরা হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করেছে। অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সৈয়দ তরিকুল ইসলাম হামলার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, এটা ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে কোন গণ্ডগোল না। ইফতারি দেওয়া নিয়ে এলাকায় দুটি পক্ষ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যকার মারামারি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ কুন্ডু মিটুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/৬মে/এলএ)