ডিজিটাল সনদ-পরিচয়পত্র পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। প্রথম পর্যায়ে ১৩ জেলার ৩৭ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবেন এই সনদ ও পরিচয়পত্র। আগামী আগষ্টের মধ্যে বাকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এসব পৌঁছে দেওয়া হবে।
রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র প্রদান উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বহুল প্রত্যাশিত ডিজিটাল সনদ এবং পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ১৩টি জেলার ৩৭ হাজার ৯১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে। জেলাগুলো হচ্ছে- গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নড়াইল এবং গাজীপুর।
তিনি বলেন, বাকি জেলাগুলোর প্রিন্টিং কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আগামী আগস্টের মধ্যে বাকিদের কাছে এই সনদ ও পরিচয়পত্র পৌঁছাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অধিকাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও পরিচয়পত্র আমরা পেয়েছি। একসঙ্গে বিতরণ করা সম্ভব নয়। আমরা ধাপে ধাপে পৌঁছে দেবো। সবার কাছে পৌঁছে দিতে দুই মাসের বেশি লাগবে না। মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের কাছে শুধু সনদ পৌঁছে দেওয়া হবে। এগুলো উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রহ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সনদ ও পরিচয়পত্র ১৪ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। টাকা জাল করা যতটা কঠিন, তার চেয়েও বেশি কঠিন হবে সনদ ও পরিচয়পত্র জাল করা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সেবা প্রদান করছে তা নিয়ে একটি বুকলেট প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। এতে সেবাপ্রপ্তি যেমন সহজ হবে, জনগণও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা সম্পর্কে জানতে পারবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতাল এবং ঢাকার ২২ বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য এরইমধ্যে ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া আছে। হাসপাতালগুলো অতিরিক্তি অর্থ চাহিদা দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা নীতিমালা অনুযায়ী সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন খুব শিগগির অনুষ্ঠিত হবে। আদালতে রিট থাকায় নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। এখন নির্বাচনের সব বাধা দূর হয়েছে। সমন্বিত তালিকা আমাদের প্রস্তুত আছে। নির্বাচন কমিশনও গঠন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।

মন্তব্য করুন