মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের ডিলার অ্যাকাউন্টে নজরদারি বাড়াবে বিএসইসি

মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের ডিলার অ্যাকাউন্টের কোথায়, কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা আছে সে বিষয়ে নজরদারি আগের থেকে আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোমবার (২৫ জুলাই) থেকেই মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের ডিলার অ্যাকাউন্টের টাকা কোথায়, কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা আছে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশি-বিদেশি অর্থনৈতিক টালমাটার পরিস্থিতির কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশের উভয় পুঁজিবাজার। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে- এমন আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বড় ধরনের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায় পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল আসছে না।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তেরণের লক্ষে ২১ জুলাই বিএসইসি কার্যালয়ে কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে ৩২ জন অ্যাসেট ম্যানেজারদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ফলে তারা নিয়মিত শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে অ্যাসেট ম্যানেজারদের বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়।
বিএসইসির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অ্যাসেট ম্যানেজারদের কাজ দুই রকম। এগুলো হচ্ছে- মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও ম্যানেজ করা। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো অ্যাসেট ম্যানেজাররা শুধুমাত্র ফান্ড পরিচালনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে আনার জন্য কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ডিলার অ্যাকাউন্টের টাকা কোথায়, কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা আছে তা আমরা আজ থেকে খেয়াল রাখছি। কারণ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ডিলার অ্যাকাউন্টের টাকাগুলো বিভিন্ন সময় ঠিক মতো পাচ্ছি না। অন্যদিকে বিভিন্নভাবে তাদের বিনিয়োগ দেখতে পাচ্ছি। এখন থেকে বিষয়গুলো আমরা কঠোর ভাবে খেয়াল করব। যাতে তাদের বিনিয়োগ যেন ক্যাপিটাল মার্কেটে, তাদের পেইডআপ ক্যাপিটাল, তাদের নিজস্ব ডিলার অ্যাকাউন্ট ঠিকভাবে পাই।’
বর্তমানে পুঁজিবাজারের নিজস্ব কোনো সমস্যা নেই। বৈশ্বিক সমস্যার কারণে আমরা সমস্যায় আছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসলেএজন্য জনমনে একটু অস্থিরতা আসছে। এজন্য অনেকেই প্যানিকড হয়ে গেছে। তারপরেও আমি মনে করি এটা সাময়িক অস্থিরতা। বৈশ্বিক সমস্যা নিরসন হলে বা দুই-চারটি সুখবর আসলেই পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/বিএস/ডিএম)

মন্তব্য করুন