কোরবানির পশুর হাট সড়কে বসানো যাবে না

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়ক ও মহাসড়কে কোরবানির পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সোমবার ঈদুল আজহার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় সড়ক ও মহাসড়কে কোরবানির পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে সড়ক ও রেল মন্ত্রণালয়ের ঈদুল আজহার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে কোথাও গরুর হাট বসানো যাবে না। একই সঙ্গে হাটের গরু যেন সড়কের ওপর চলে না আসে সে বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও চাঁদাবাজিমুক্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ, পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি রোধ, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নজরদারি বৃদ্ধি এবং রেলের অতিরিক্ত কোচ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মহাসড়ক ও তার পাশে চিহ্নিত ২১৭টি সম্ভাব্য গরুর হাট ইজারা দেওয়া হবে না। ঈদের সময় ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নকাজ সাতদিন বন্ধ রাখা হবে। যানজটের আশঙ্কাজনক ১৪৯টি স্থানে মনিটরিং জোরদার ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। পদ্মা ও যমুনা সেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ টোল প্লাজাগুলোতে ইটিসি বুথ সার্বক্ষণিক চালু রাখা এবং সম্ভব হলে অগ্রিম টোল সংগ্রহের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
ঈদের আগে ও পরে তিনদিন করে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও তিনি জানান। এ ছাড়া ঈদের আগে সাত এবং পরে পাঁচ দিন সার্বক্ষণিক সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, গত ঈদে প্রায় দেড় কোটি মানুষ যাতায়াত করেছেন, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপ সৃষ্টি হয়। এবার সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গতবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের ঈদযাত্রাকে আরও স্বচ্ছ ও আরামদায়ক করতে চাই।
(ঢাকাটাইমস/১৩ মে/আরজেড)

মন্তব্য করুন