আপনি কি চশমা পরেন? কেমন চলছে ব্যবহার্য পণ্যটির বাজার

আকিবুর রহমান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২২, ১৮:৫৮ | প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২২, ১৮:৩৮

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে। বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। ফলে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। এর বাইরে নেই চশমার বাজার। ব্যবহার্য জিনিসটি নানা উপকরণ দ্বিগুণ ব্যয়ে আনতে হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে চশমা তৈরি হয় না। ফ্রেম থেকে কাঁচ সবই আমদানি করতে হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে চশমা আমদানি করে বিক্রি করা হয় বাজারে। আমদানি ব্যয় বাড়ায় দাম বেড়েছে চশমার।

ফ্রেম ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আমদানি ব্যয়। আবার কাঁচের ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে আরও বেশি। অন্যদিকে দাম বাড়ায় কমেছে ক্রেতাও। আগে যারা শখ করে হলেও ফ্রেম বদলাতেন তেমন ক্রেতারা এখন সময় নিচ্ছেন বলে ব্যবসায়ীরা বলছেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেট, মগবাজার, এলিফ্যান্ট রোড়, নিউমার্কেট, সাইন্সল্যাবসহ বিভিন্ন চশমা মার্কেটের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে বিক্রি হওয়া চশমাগুলো আনা হয় চীন, ভারত, আমেরিকা, হংকংসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চশমার পাশাপাশি ফ্রেম, গ্লাসও আমদানি করে পরে সংযোজন করা হয়।

চশমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় চীন থেকে আনা বিভিন্ন ফ্রেম। আর ব্র্যান্ডের মধ্যে পুলিশ, রেবন, লেকস্টি, নাইক, লংজিনস, ইমপোরিও আরমানি, কারটিয়ার, টমফোর্টসহ বিভিন্ন কোম্পানির চশমার ক্রেতার পছন্দ।

চশমা ক্রেতাদের মধ্যে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া রোগীর সংখ্যা কমেছে বলেও জানিয়েছেন মগবাজারের ফরিদপুর অপটিকসের বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘চোখের রোগীদের বেশিরভাগই ডাক্তার দেখিয়ে রাতে দিকে আসতেন। তবে এখন রাত আটটার মধ্যে দোকান বন্ধ করতে হয়। যেকারণে এই রোগীদের আর পাচ্ছি না। অর্থাৎ আমাদের ব্যবসা কমেছে।’

চোখের পাওয়ারের ক্ষেত্রে কোন ধরনের কাঁচের চাহিদা বেশি জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গ্লু-গ্লামার গ্লাসটা বেশি বিক্রি হয়। অ্যান্টি-রিফ্লেকশন গ্লাসটা মোটামুটি ক্রেতা আছে। এছাড়া হোয়াইট গ্লাসের চাহিদাও বেশ।’

এলিফ্যান্ট রোডের আই কিং দোকানের স্বত্বাধিকারীরা জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা টাইমসের। তিনি বলেন, ‘এখন আগের মতো প্রেসক্রিপশন রোগী তেমন নেই। আগে দিনে ১৫/২০ জন রোগী আসতো। এখন ৪/৫ জনের বেশি আসে না।’

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চশমা রোগীরা সাধারনত অন্য রোগীর চেয়ে কম থাকে তাছাড়া আগের তুলনায় চশমা দোকান বেড়ে যাওয়ায় কাস্টমার কম।’

কোন ধরনের ফ্রেম বেশি বিক্রি হয়? উত্তরে এলিফ্যান্ট রোডের এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্লাস্টিক মেটালের ফ্রেম বেশি বিক্তি হয়। হাজারের নিজের দামের ফ্রেমগুলার বিক্রি বেশি। এছাড়া কম বয়সীদের মধ্যে সানগ্লাসের চাহিদা আছে। আবার ফ্যাশনের জন্য তিন থেকে পাঁচশ টাকার চশমার চাহিদাও আছে।’

এলিফ্যান্ট রোডের হক অপটিকসের মালিক ঢাকাটাইমসকে জানান, চশমা তৈরিতে দেশীয় কোম্পানি নেই বললেই চলে। চীনা কোম্পানির ফ্রেম বেশি বিক্রি হয়। দাম কম থাকায় এসব ফ্রেমের ক্রেতাদের পছন্দ বেশি।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

কিডনি রোগ বাড়ছে শিশুদেরও! যেসব লক্ষণ দেখলেই সতর্কতা জরুরি

সস্তার পেয়ারার গুণে বশে থাকে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :