লালমনিরহাট তিস্তায় সিসা তৈরির অবৈধ কারখানা, মাদক ব্যবসার ঘাঁটি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৩

লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার ৮ নং গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা রেলওয়ে ব্রিজের পাথর বাড়ির শেষ মাথায় রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে পুরাতন ব্যাটারী আগুনে পুড়ে সিসা তৈরির অবৈধ কারখানাসহ মাদক ব্যবসার ঘাঁটি। ফলে এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে ক্ষতি হচ্ছে আবাদি ফসলের।

এসব অবৈধ ব্যবসা পরিচালনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার নোসরার পাড়া গ্রামের মো. হজরত আলী ও একই এলাকার মো. আবু হানিফ জুয়েল। স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের ছত্রছায়ায় তারা দুজনে প্রায় ২ বছর ধরে সেখানে পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির করে আসছে। চালিয়ে আসছে মাদকের ব্যবসা। এসব সিসা ও মাদক ট্রাক যোগে পাচার হচ্ছে বগুড়াসহ রাজধানীতে।

এই পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানার দুষিত ধোঁয়ায় আশেপাশের গ্রামের লোকজনের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নষ্ট হচ্ছে চরের আবাদি ফসল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত সময় এই অবৈধ কারখানায় যখন ব্যাটারীর প্লেট আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে, তখন কারখানার দুষিত ধোঁয়ায় আশেপাশের দুই তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাসা বাড়িতে বসবাস করা কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। চোখ মুখ জ্বালা করে। এই কারখানার এসিডের ধোঁয়া ও পানির কারণে আশেপাশের কোনো এলাকার ঘাস কেটে গবাদিপশু মৃত্যুর ভয়ে খাওয়াতে পারছেনা বলে স্থানিয়রা জানান।

কিন্তু এই কারখানার মূল মালিক হজরত আলী ও মো. আবু হানিফ জুয়েল স্থানীয় ওই সদস্য কিছু প্রভাবশালী লোকজনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চালিয়েছে এসব অবৈধ ব্যবসা। অথচ এই জায়গাটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। জায়গাটি নেওয়া হয়নি কোনো লিজ। ওই ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় কেউ মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা। এ নিয়ে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে কোনো সুফল পায়নি।

তাই এলাকাবাসী এই পরিবেশের ক্ষতিকারক পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানাসহ মাদকের ঘাটি উচ্ছেদের দাবি তুলেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, পুলিশসহ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের কাছে।

তবে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম জানান এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/এআর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :