জয়ের জন্য আর তিন উইকেট দরকার বাংলাদেশের

বাংলাদেশের দেয়া ২১০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে ইতিমধ্যেই সাত উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ফরে জিততে হলে বাংলাদেশের দরকার আর তিন উইকেট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংলিশদের দরকার ৭ উইকেটে ১৬২ রান।
এখন ৮১ রানে মালান ও শূন্য রানে বাটলার অপরাজিত রয়েছেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ইনিংসের ষষ্ঠ বলেই ওপেনার জেসন রয়কে সাজঘরে পাঠান সাকিব আল হাসান। আউট হওয়ার আগে ৪ রান করেনে রয়। দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নামা ফিল সল্টকে ১২ রানে বোল্ড করেন তাইজুল। জেমস ভিঞ্চ আউট হন ৬ রানে। এবারও ঘাতক তাইজুল।
চতুর্থ উইকেটে নেমে সুবিধা করতে পারেননি দলনেতা জস বাটলারও। তাসকিন আহমেদের করা বলে ৯ রানে আউট হন তিনি। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে চাপ সামলে নেন উইল জ্যাকস ও ডেভিড মালান। দুজন মিলে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। ৩১ বলে ২৬ রানে ফেরেন জ্যাকস।
এরপর মঈন আলিকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিতে থাকেন ওপেনার ডেভিড মালান। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। কিন্তু টিকতে পারেননি সঙ্গী মঈন আলি। আউট হন ১৪ রানে। ক্রিস ওকসের ব্যাট থেকে এসেছে ৭ রান।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান টাইগার দলনেতা তামিম ইকবাল খান। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ওপেনিং জুটিটা বড় করা হয়নি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিটন কুমার দাস। এদিকে আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফিরেছেন তামিম। লিটন ৭ রান ও তামিম ২৩ রান করেন।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বড় জুটি গড়ায় ইঙ্গিত দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মুশি। আউট হয়েছেন ১৭ রানে। আর সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৮ রান।
১০৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ সামলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনে তুলেন ৫৩ রান। ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন শান্ত। তার ইনিংস থামে ৫৮ রানে। আর ৩১ রান করেছেন রিয়াদ। এছাড়া আফিফ করেন ৯ রান। এছাড়া মিরাজ ৭, তাসকিন ১৪ ও তাইজুল ১০ রান করেন। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজ।
(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/এমএম)

মন্তব্য করুন