রোজায় পর্যটকশূন্য কক্সবাজার, হোটেল-মোটেলে বিশাল ছাড়

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৫:২৪
অ- অ+

সারা বছর ভিড় লেগে থাকলেও অনেকটা পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। হোটেলমালিকেরা জানিয়েছেন, প্রতিবছরই রোজায় পর্যটক কমে যায়। গত শুক্রবার পর্যন্ত শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল–মোটেল ও গেস্টহাউসে প্রায় ২০ হাজারের মতো অতিথি ছিলেন। রোজার কারণে এর পর থেকে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। এখন সব কটি হোটেল–মোটেল মিলিয়ে তিন হাজারের মতো পর্যটক আছেন। তবে রোজার মাসেও পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কক্ষভাড়ার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় ঘোষণা করছেন হোটেল-মোটেলমালিকেরা ।

শনিবার সারা দিনে সৈকতের কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে সৈকতে মাত্র দুই হাজারের মতো পর্যটক নামতে দেখা গেছে।

কক্সবাজারের সাতটি হোটেল ও রেস্তোরাঁমালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, রোজার সময় অল্প কিছুসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। অনেকের কক্সবাজার ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও অতিরিক্ত খরচের কারণে সেটি তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে রমজানে মাস জুড়ে শহরের হোটেল-মোটেলে কক্ষভাড়ায় সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষণা করেছে একাধিক হোটেল-মোটেল। অর্থাৎ এক হাজার টাকার একটি কক্ষ এখন ৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

শনিবার দুপুরে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ কক্ষই ফাঁকা পড়ে আছে। আবার মূল ফটকে ঝুলছে তালা। এদিকে সৈকত ও শহর এলাকার অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিকালের দিকে রেস্তোরাঁগুলোয় ইফতারসামগ্রীর পসরা বসছে।

এদিকে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে নেমে দেখা যায়, পুরো এক কিলোমিটার সৈকতে এক শ জনের মতো পর্যটক। বেলা তিনটার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টের চিত্রও ছিল অনেকটা একই রকম। উত্তর দিকের সিগাল-লাবনী পয়েন্টের সৈকত এলাকাতেও চিরচেনা কোলাহল নেই।

ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ‘রমজানে যেহেতু স্কুল বন্ধ, তাই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে এলাম। নির্জন সৈকত ভালো লাগছে। কিন্তু রেস্টুরেন্টসহ অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। তাই কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারের অভিজাত তারকা হোটেল সি গাল, ওশান প্যারাডাইস, সায়মান বিচ রিসোর্ট, হোটেল লংবিচ, হোটেল কক্স টু ডে, হোটেল কল্লোল, মারমেইড বিচ রিসোর্ট, হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালসহ আশপাশের ৫০টির বেশি হোটেল, গেস্টহাউস, কটেজ ও রিসোর্টে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

হোটেল সি গালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ইমরুল ইসলাম ছিদ্দিকী বলেন, রোজার মাসে অধিকাংশ কক্ষ খালি থাকে। হোটেলে মোট কক্ষ আছে ১৭৯টি। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ কক্ষই এখন ফাঁকা। কক্ষভাড়ার ওপর সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, রোজায় পর্যটক কম থাকলেও ঈদের ছুটির ৭ দিনে অন্তত ১০ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে। গত বছর ঈদের ছুটির ১০ দিনে ১২ লাখ পযটকের সমাগম ঘটেছিল।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ফের একাধিক প্রদেশে ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের বাড়িতে আ.লীগ নেতার হামলা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক
পুশ ইন ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার বিজিবির
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হবে না: আমিনুল হক 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা