দাম কমলেও ব্রয়লার মুরগি এখনো সাধারণের নাগালের বাইরে

বারিধারা নতুন বাজারে মুরগির দোকানে এসে নাফিসা রহমান বুঝতে পারছিলেন না কিনবেন না কি ফিরবেন। কারণ, ১ কেজি সাতশ গ্রাম ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগির দামই আসে প্রায় চারশ টাকা। তাই নেবেন কি না বুঝতে পারছিলেন না এই গৃহিণী। ‘হাতে আছে ১ হাজার টাকা, কিন্তু আমাকে আরও সদাই কিনতে হবে’। হিসাব মেলাতে মেলাতে বলছিলেন নাফিসা রহমান।
জানুয়ারি থেকে ঊর্ধ্বমুখে ছুটতে থাকা ব্রয়লার মুরগির দাম আপাতত পড়ে আসছে। সব মহলের সমালোচনার মধ্যে ৩০০ ছুঁয়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগি রবিবার বিক্রি হচ্ছে ২২০/২৩০ টাকায়। অন্যদিকে খামার থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রির খবর এসেছে।
সম্প্রতি মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে মুরগির দাম নিয়ে বিরাজমান অস্থিরতা কমাতে দেশের বড় চার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মুরগির অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে শুনানি শেষে ফার্ম থেকে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিষ্ঠান চারটি। এরপর থেকেই বাজারে কমতে থাকে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম।
সম্প্রতি মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে দেশের বড় চার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মুরগির অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে শুনানি শেষে ফার্ম থেকে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিষ্ঠান চারটি। এরপর থেকেই বাজারে কমতে থাকে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম।
তবে নাফিসা রহমানের মতো নিম্নমধ্য আয়ের পরিবারের জন্য কমে আসা দামও বেশি। গরুর বা ছাগলের মাংসের তুলনায় দাম অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় আগে মধ্যম আয়ের পরিবারের প্রথম পছন্দ থাকত ব্রয়লার মুরগি।
এদিকে রাজধানীর কয়েকটি বাজার সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ৫০/৬০ টাকা কমে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ৩৯০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কমে ৩৩০ টাকা, সাদা কক মুরগি ৩৯০ থেকে কমে ৩২০ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি ৪২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কমে ৩৬০ টাকা, লেয়ার ৩৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কমে ৩৬০ টাকায় প্রকি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা চাঁন মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘পাইকারি আড়তদাররা আমাদের কাছে কমে বিক্রি করলে। আমরাও কমে বিক্রি করি। তবে ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা বিক্রি করলেও অতিরিক্ত দাম হয়ে যায়। আরও কমানো দরকার।’
মগবাজার এলাকার বাসিন্দা রাফছান ইসলাম ঢাকা টইমসকে বলেন, ‘ক্রেতাদের সঙ্গে লুকোচুরি শুরু করছে ব্যবসায়ীরা। যেকোনো পণ্যের দাম ১০০ শতাংশ দাম বাড়ানোর পর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ দাম কমিয়ে ভোক্তাদেরকে ময়না বুঝ দেওয়া হচ্ছে।’
(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/ডিএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
অর্থনীতি এর সর্বশেষ

সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে কোনো সমস্যা হবে না, মূল্যস্ফীতি বাড়বে না: গভর্নর

এবারের বাজেট গরিব-ধনী সবার জন্য: অর্থমন্ত্রী

আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট করিনি, তাদের সব পরামর্শ আমলে নেওয়া হয়নি: অর্থমন্ত্রী

আর্থিক ব্যবস্থা ভালো, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

বাজেট গরিববান্ধব গণমুখী, সমালোচনা গৎবাঁধা: তথ্যমন্ত্রী

এবারও বাজেট বাস্তবায়নে সফল হবে সরকার: অর্থমন্ত্রী

রাশিয়া থেকে আসবে ১ লাখ ৮০ হাজার টন সার

নিত্যপণ্যের দাম নাগালে আসছেই না

প্রস্তাবিত বাজেটে আইএমএফের শর্ত পালনের আভাস স্পষ্ট: সিপিডি
