মাদারীপুরে প্রথমবার ট্রেন চলার খবরে খুশি পদ্মাপাড়ের মানুষ

মাদারীপুর প্রতি‌নি‌ধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:২৫ | প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:২০

মাদারীপুরে প্রথমবার ট্রেন চলার খবরে খুশির বন্যা বাইছে পুরো দক্ষিণাঞ্চলে। সবচেয়ে খুশি জেলার শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের মানুষ। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে, যা ছিল স্বপ্নাতীত। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল)। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পুরোদমে ট্রেন চলাচল শুরু হলে আরও একটি স্মারক যোগ হবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে।

গত বছর ২৫ জুন বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ জুন থেকে সড়ক পথের দুয়ার খুলে যায়। অপেক্ষায় ছিল সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল। পদ্মা সেতু চালুর ৯ মাস ১০দিনের মাথায় অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল)। জীবনের প্রথম মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ রেলগাড়ি দেখবে এটা তাদের কাছে পরম পাওয়া। একই সাথে স্বল্প খরচে মানুষের যাতায়াত সুবিধা, পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে গতি আসবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে স্বল্প খরচে কৃষি পণ্য রাজধানীতে নিতে পারবে ভাটি অঞ্চলের কৃষকরা। এরই মধ্য দিয়ে দেশবাসী আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে।

ভাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান জানান, ‘আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ভাঙ্গা স্টেশন থেকে একটি গ্যাংকার ট্রেন এবং ৭ বগিবিশিষ্ট যাত্রীবাহী একটি স্পেশাল ট্রেন মাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে রেলমন্ত্রী মহোদয় আসবেন, তিনি এখানে ব্রিফ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। আগে গ্যাংকার ট্রেন ছাড়া হবে, তারপরে স্পেশাল ট্রেন যাত্রা করবে। যাত্রীবাহী হলেও এই স্পেশাল টেনে কোনো যাত্রী থাকবে না।

শুধু মন্ত্রী মহোদয়, রেল লিংক প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দ থাকবেন। মাওয়া পৌঁছানোর পরে সেখান থেকে মন্ত্রী মহোদয়সহ অতিথিবৃন্দ সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে যাবেন।

ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে জানতে চাইলে ভাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, ‘কতটা গতিতে চালানো যাবে এবং চালক কতটা গতিতে ট্রেন চালাতে পারবেন; তার ওপর নির্ভর করছে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছাতে কতটা সময় লাগবে। তবে আমাদের ধারণা দুই ঘণ্টার মতো লাগতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেন দুটি মাওয়া স্টেশনে পৌঁছানোর পরে গ্যাংকার ট্রেন ওখানেই থেকে যাবে; আর স্পেশাল ট্রেনটি মাওয়া থেকে ব্যাক করে পুনরায় ভাঙ্গা স্টেশনে আসবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :