২১০০ যুবকের আর্থিক উন্নয়নে পাশে দাঁড়ালো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-ইউসিইপি

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৩৭| আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৩৯
অ- অ+

সুবিধাবঞ্চিত যুবকদের আর্থিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হারানোর বিরুদ্ধে লড়তে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যৌথভাবে পরিচালিত একটি বিশেষ প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এবং ইউসিইপি বাংলাদেশ। উচ্চতর ও পুনঃদক্ষতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মশক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়, যার আওতায় দুই হাজার ১০০ যুবককে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাছাই করা হয়।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং ইউসিইপি’র এই কর্মসংস্থান ও পুনঃদক্ষতা বৃদ্ধি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তাদের ইলেক্ট্রিক্যাল ইনস্টলেশন ও মেইন্টেনেন্স, এয়ার কন্ডিশনার মেইন্টেনেন্স, অটোমেটিক মেকানিক রিপেয়ার, টেইলারিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং ইউসিইপির এই যৌথ প্রোগ্রামটি চারটি ধাপে সম্পাদিত হয়। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্যারামিটারগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রোগ্রামটি ইউসিইপি বাংলাদেশ পরিচালিত বেশ কয়েকটি মূল্যায়ন ও গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই মূল্যায়ন এবং গবেষণাগুলো আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যক্তির অদক্ষতাগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে, বর্তমান বাজারে চাকরি পেতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম করতে এই কর্মসূচি সাজানো হয়।

কর্মসূচি চলাকালে অংশগ্রহণকারীদের খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের লক্ষ্য অনুযায়ী ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক সমাজ থেকে শিক্ষা, উপার্জনক্ষমতা এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করা।

প্রথম তিনটি ধাপে দুই হাজার ১০০ যুবক প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। প্রথম ধাপে, ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে, ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন, যাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত। তৃতীয় ধাপে, ৮০০ জনের মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মসংস্থান হার অর্জন করেছে। চতুর্থ ধাপ চলতি বছরের মার্চে সম্পন্ন হয়। প্রোগ্রামটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর সাধারণত দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে অংশগ্রহণকারীর চাকরি খুঁজে পেতে অথবা পদোন্নতি হতে। ৯১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই পর্যন্ত সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে, এবং এই হার আগামীতে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন কর্মসূচির আয়োজকেরা। -বিজ্ঞপ্তি

(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ ইতালি আনকোনা শাখার নতুন কমিটি গঠন 
চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি, ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস 
সরাইলে আমগাছ থেকে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু 
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ ব্লকের ঘোষণা এনসিপির
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা