চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ মে ২০২৩, ১৫:০৮ | প্রকাশিত : ০৯ মে ২০২৩, ১৪:৪৯

বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর চট্টগ্রাম জেলার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরও এক বছর ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

বাকি তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় তাদের বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্তি মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞার আদালত এ রায় দেন।

এর আগে, ১১ এপ্রিল এই মামলায় যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার সময় নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। সেদিন যুক্তি-তর্ক শুনানিতে নিজেদের নিদোর্ষ দাবি করেছিল আসামিরা।

দণ্ডিত এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুন দিনাজপুর জেলার সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে।

আর খালাস পাওয়া তিনজন হলেন- গাইবান্ধা জেলার তুলশীপাড়ার আক্তার হোসেন সরকারের ছেলে বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ, ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুরের মমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সুজন এবং চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার আব্দুল গণির ছেলে মাহাবুবুর রহমান ওরফে খোকন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নোমান চৌধুরী বলেন, চার আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের ৪ ও ৬ ধারায় অভিযোগ ছিল। বিস্ফোরক দ্রব্য যার থেকে উদ্ধার করা হবে তার সাজা অবশ্যই হবে। যেহেতু তিনজনের কাছ থেকে কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি তাই তাদেরকে বিজ্ঞ আদালত বেকুসুর খালাস দিয়েছেন। আর আসামি এরশাদ হোসাইনকে চার ধারায় ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ নগরীর আকবরশাহ থানার মীর আ্উলিয়ার মাজার সড়কের এনআর স্টিল মিলের সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।

ওই বাসা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বইসহ এরশাদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। অভিযানের সময়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যান। এই ঘটনায় আকবর শাহ থানায় এসআই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০১৫ সালের শেষের দিকে নগরের কর্ণফুলী থানায় এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বুলবুলসহ অন্য তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের আকবর শাহ থানার এই বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকবর শাহ থানার এসআই মোহাম্মদ সোলায়মান।

২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদালত। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৯মে/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :