শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আ.লীগের কর্মসূচি

১৯৭৫ সালে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রও ধ্বংস হয়। এরপরে ১৯৮১ সালে শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন। এথেকে তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ 'স্মার্ট' বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি যুগান্তকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, তিনি গত চার দশকের বেশি সময় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের উদ্দেশ্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া দলটির সহযোগিতা ও ভ্রাতিপ্রতিম সংগঠনও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—
বুধবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া দেশব্যাপী মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
বেলা ১১টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল ১০টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬মে/জেএ/ইএস)

মন্তব্য করুন