প্রেম: দান্তে-বিয়াত্রিচে

ড. নেয়ামত ভূঁইয়া
| আপডেট : ২১ মে ২০২৩, ০৯:০৭ | প্রকাশিত : ২১ মে ২০২৩, ০৯:০০

“Beatrice looks up to God,

and her eyes mirror Heaven.

Dante looks into that mirror

and finds himself gradually carried up above.”

স্রস্টার সৃষ্টি প্রেমেরই নিদর্শন। প্রেমের মহিমা-মাহাত্ত ছাড়া সৃষ্টির এতো বৈচিত্র্য, রহস্য, ছন্দময়তা, বিশালতা, শোভা, সৌরভ, বাহার, মোহময়তা,সৌন্দর্য, সৌকর্য, সামঞ্জস্য, নান্দনিকতা, শৈল্পিক নিখুঁত নৈপুণ্যের সমাহার ঘটানো অকল্পনীয় ব্যাপার।আর মানবসৃষ্টিও বিধাতার এক অপার ও সর্বোৎকৃষ্ট প্রেমের নিদর্শন।তাই যেখানে মানুষ, সেখানেই প্রেমের উপস্থিতি অবধারিত।মহাকবি দান্তের ঈশ্বর- ধারণার সাথে ভালোবাসা সম্পর্কিত, এবং পরিত্রাণের যোগ্যতা অর্জনের জন্য একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন। অন্যদিকে, ভালোবাসাকে বিশ্বের জিনিস বা মানুষের প্রতি আকাঙ্ক্ষা হিসাবেও দেখা হয় ইতালীয় আধ্যাত্মিক প্রেমের কবি দান্তের মতাদর্শে।দান্তের প্রসঙ্গ যখন উঠলই, তাহলে তাঁর প্রেমের আখ্যানটাও এ সুযোগে বলে দিঃ

দান্তে ছিলেন একাধারে কবি, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, যোদ্ধা এবং মধ্যযুগের পাশ্চাত্য সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক।তিনি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ 'দ্য ডিভাইন কমেডি' মহাকাব্যটি ১৩০৮ সাল থেকে লিখা শুরু করেন। আনুমানিক ১৩২১ সালে, তাঁর মৃত্যুর অল্পকিছু দিন আগে তা লিখা শেষ হয়। প্রকাশিত হয় এটির মূল নাম 'দিভিনা কোমেদিয়া'নামে।,

তবে ‘ইংরেজিতে এটি 'ডিভাইন কমেডি' নামেই পরিচিত। এই মহাকাব্য যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন, এতে নরক (Inferno)’র বর্ণনা কতোটা ভয়াবহ অথচ শৈল্পিকভাবে দেওয়া হয়েছে।ইনফার্নো(জান্নাম) হল দান্তের মহাকাব্যের প্রথম অংশ।এতে ঐতিহাসিক এবং সাহিত্যিক খ্যাতিসম্পন্ন খলনায়কদের চিরন্তন চূড়ান্ত পরিণতি বিবৃত হয়েছে এবং এভাবে পরখ করা হয়েছে মানব প্রকৃতির পাপাচার এবং ট্র্যাজেডির প্রভাবগুোকে।

ডিভাইন কমেডি আসলে একটি রূপক কাহিনী। হৃদয়ের আবেগ, নিখুঁত বর্ণনা, দার্শনিক-চিন্তা এবং ইতিহাস ও পুরাণের অসামান্য সুন্দর মিশ্রণের জন্যই এটি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্যগুলোর একটি রূপে কালজয়ী হয়ে আছে। বিশ্বসাহিত্যে দান্তে অনন্য স্থান অধিকার করে আছেন তাঁর এ মহাকাব্যের জন্যই।মধ্যযুগে পাশ্চাত্য গির্জাগুলোয় কিভাবে জীবনযাত্রা বিকশিত হয়েছিল, তা দান্তের এই কাব্যের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ১৪২৩৩ লাইনের এই মহাকাব্য তিন ভাগে বিভক্ত : ইনফেরনো (নরক) , পুরগাতোরিও(বিশোধক) এবং পারাদিসো(স্বর্গ)। এগুলোর প্রতিটি আবার ৩৩টি ভাগে বিভক্ত। দান্তে তাঁর এই মহাকাব্যে একটি পরলোক যাত্রার কথা বর্ণনা করেন, যা এই তিন রাজ্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তাঁর কল্পনাত্মক এবং রূপকাত্মকতা মধ্যযুগের খ্রিস্টানদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা মৃত্যুর পরের জীবন, যা ক্যাথলিক গির্জাগুলোর মাধ্যমে বিকশিত হয়েছিল।

এই মহাকাব্যের অন্যতম চরিত্র বিয়াত্রিচে। পৃথিবীতে ভালোবাসার যে সব বাস্তব কাহিনী রয়েছে,সে গুলোর মধ্যে দান্তের জীবনের কাহিনীটি যেমন মধুর, তেমনি বিস্ময়কর। তাঁর বয়স যখন ৯ বছর, তখন ‘মে দিবস’ এর এক অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় বিয়াত্রিচে নামের একটি মেয়েটির। মেয়েটির বয়সও ৯ বছর।দান্তের জবানিতেই শুনুন,’ I saw her almost at the end of my ninth. She appeared dressed in noblest colour, restrained and pure, in crimson, tied and adorned in the style that then suited her very tender age. At that moment I say truly that the vital spirit, that which lives in the most secret chamber of the heart began to tremble so violently that I felt it fiercely in the least pulsation, and, trembling, it uttered these words: ‘Behold a god more powerful than I, who, coming, will rule over me.’ এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে, বিয়ত্রিচে হলো, নিশ্চিতরূপে এক বিস্ময় ও স্বর্গীয় লাবণ্য এবং অনুগ্রহের শক্তির প্রতীক।

প্রথম দেখার সময় দুজনের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। পরবর্তী সময়ে সারা জীবনে দু-তিনবারের বেশি দুজনের দেখাও হয়নি। কিন্তু দান্তে জানিয়েছেন, প্রথম দেখার দিনই তিনি বিয়াত্রিচের প্রেমে পড়েন (Love at first Sight) - ’প্রথম দর্শনে প্রেম’ এমন একটি মুহুর্ত--- যা এর পেছনে কোন যুক্তি ছাড়াই অন্য ব্যক্তির প্রতি তীব্র আকুলতা এবং চরম আকর্ষণ দ্বারা চিহ্নিত।ইংরেজি সাহিত্যের জনক জিউফ্রে চসার তার ‘ ট্রয়েলাস এবং ক্রেসিডায়া’ মহাকাব্যে নায়কের প্রতি নায়িকার রোমান্টিক আকর্ষণকে প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন,“She loved right from the first sight.” যাহোক, প্রথম দর্শনের এই প্রেম দান্তের সমগ্র জীবনকে নিয়ন্ত্রিত ও মহান করেছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, দান্তের এই একনিষ্ঠ ভালোবাসার কথা কখনো জানতে পারেননি বিয়াত্রিচে। একসময় দান্তে ও বিয়াত্রিচে দুজনেরই বিয়ে হয়ে যায় ভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ১২৯০ সালে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে বিয়াত্রিচে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরও দান্তে তাঁকে কখনো ভুলতে পারেননি। ২০ বছর বয়সের সময় থেকে তিনি বিয়াত্রিচের উদ্দেশে কবিতা লিখতে শুরু করেন। 'ডিভাইন কমেডি'র মধ্যেও তিনি বিয়াত্রিচের প্রসঙ্গ উল্লেখযোগ্যভাবে এনেছেন।

এই মহাকাব্যে বিয়াত্রিচের প্রসঙ্গ থাকলেও এর বিষয়বস্তু কেবল প্রেম নয়। এখানে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কবির গভীর দার্শনিক-চিন্তার অত্যন্ত সুন্দর প্রকাশ ঘটেছে। কাহিনীটি এ রকম যে, এক বনের মধ্যে দান্তের দেখা হয় প্রাচীন খ্রিস্টপূর্ব যুগের মহাকবি ভার্জিলের সঙ্গে। স্বর্গে অবস্থানরতা বিয়াত্রিচে ওই সময় ভার্জিলকে সেখানে পাঠিয়েছেন, ভার্জিল যেন দান্তেকে মৃত্যু-পরবর্তী ভুবনে পথ দেখিয়ে স্বর্গে নিয়ে আসেন। দান্তে জীবন্ত আত্মা নিয়ে ওই ভ্রমণের নানা বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথাই এই মহাকাব্যে বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে স্বর্গ, নরক ও পার্গেটরির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। যেসব আত্মা শেষ পর্যন্ত ত্রাণ লাভ করে স্বর্গে যাবে, পার্গেটরি বা প্রেতভূমিতে নানা কষ্ট ও পীড়নের মধ্য দিয়ে তাদের পাপ ধুয়ে-মুছে তাদের পবিত্র ও শুদ্ধ করে তোলা হয়। ভার্জিল দান্তেকে প্রথমে নরক, তারপর পার্গেটরি এবং সব শেষে স্বর্গের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন।

Kenelm Foster তাঁর “Dante's Idea of Love” শিরোনামে রচিত প্রবন্ধে দান্তের আধ্যাত্মিক প্রেমের ধারণা ব্যাখ্যা করেন। দান্তে বিশ্বাস করতেন যে, প্রেম " ঈশ্বরের একটি বৈশিষ্ট্য", যার সাথে তিনি "মানব আত্মা"কে সংযুক্ত করেছেন, যেমন বিয়াত্রিচে এবং তুলনা করা হয়েছে "তারকাদের আন্দোলিত করার ক্ষেত্র ঈশ্বর প্রদত্ত গতি"। বিয়ত্রচে দান্তের সেই প্রণয়িনী, যার জন্যে মহান ইতালিয়ান কবি তাঁর বেশিরভাগ কবিতা এবং জীবনের প্রায় সমস্ত জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। দান্তের ভাষায়, সেই সময় থেকে প্রেম আমার আত্মাকে বেশ পরিচালিত করতে শুরু করে। দান্তে বিয়াত্রিচের প্রতি তার অপার মুগ্ধতা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, যখন সীমাহীন আনন্দে বিয়াত্রিচে পরিপূর্ণরূপে দীপ্যমান হতো, আর তৃপ্ত আত্মায় আমি তার চাঁদমুখের দিকে তাকাতাম, মোহনীয় রূপের আবেশে তার উজ্জ্বল স্মিত হাসির ঝলকের দিকে চোখ তুলে আর পলক ফেলতাম না, তখন সে বলতো, "Turn thee, and list / These eyes are not thy only Paradise.”

দান্তে মারা গিয়েছিলেন ১৩২১ সালে। কিংবদন্তি রয়েছে যে, তাঁর মৃত্যুর পর দেখা গেল ‘ডিভাইন কমেডি’র পাণ্ডুলিপির শেষ অংশ কেউ যেন সরিয়ে নিয়েছে সেখান থেকে! ফলে তাঁর দুই ছেলে জ্যাকোপো ও পিয়েত্রে মাসের পর মাস তন্নতন্ন করে খুঁজে চললেন সেই হারানো পাণ্ডুলিপি। পিতার কাগজপত্র ঘেঁটে ঘেঁটে তারা রীতিমতো হয়রান। শত চেষ্টা করেও পাণ্ডুলিপির শেষ অংশটুকু খুঁজে পেলেন না। অবশেষে সব আশা ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজে মন দিলেন তারা।

এভাবে কেটে গেল কিছুদিন। এক রাতে পিয়েত্রে স্বপ্নে দেখতে পেলেন তাঁর পিতাকে। সাদা পোশাক পরিহিত পিতা যেন নরম আলোতে ডুবে এসে দাঁড়ালেন পিয়েত্রের সামনে। পিয়েত্রে তখন পিতাকে জিজ্ঞেস করলেন, ডিভাইন কমেডির শেষ অংশটুকুর কথা। বললেন, 'পিতা! আপনি কি এ মহাকাব্য অসম্পূর্ণ রেখেই মারা গিয়েছিলেন, না অন্য কেউ তা চুরি করে নিয়ে গেছে?' স্বপ্নের ভেতরই দান্তে তাঁর স্নেহময় পুত্রকে জানালেন, মৃত্যুর পর মূল্যবান এই মহাকাব্য বেহাত হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা করে তিনি পাণ্ডুলিপির শেষাংশটুকু লুকিয়ে রেখেছেন পাশের ঘরের ভেন্টিলেটরের ভেতরে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে পিয়েত্রে রাতের স্বপ্নের কথা জানালেন সবাইকে। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করল না তার কথা। যারা বিশ্বাস করল তারাও তেমন একটা প্রয়োজন মনে করল না পাণ্ডুলিপিটি আবার খুঁজে দেখার ব্যাপারে। পিয়েত্রে তখন তাঁর এক আইনজীবী বন্ধুকে নিয়ে খুলে ফেললেন পিতার নির্দেশিত সেই ভেন্টিলেটর। খুলে তো তিনি অবাক! দেখতে পেলেন, একটি মোটা কাপড়ে জড়ানো রয়েছে অনেক অগোছালো কাগজ এবং সেগুলো ডিভাইন কমেডির শেষাংশ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। সেদিন যদি দান্তে স্বপ্নে দেখা দিয়ে পিয়েত্রেকে পাণ্ডুলিপির জায়গাটি না দেখিয়ে দিতেন, তবে হয়তো চিরতরেই তা লুকানো থেকে যেত। তাতে ‘ডিভাইন কমেডি’ পরিচিত হতো একটি অসফল ও অসম্পূর্ণ পাণ্ডুলিপি হিসেবে।

দান্তে বিয়াত্রিচেকে বিয়ে না করলেও ১২৮৫ সালে জেমা দোনাতিকে বিয়ে করেন।এ দম্পতির ছিল চারটি সন্তান। বিয়াত্রিচের সঙ্গে নয় বছরে দান্তের দেখা হয়েছে বড়জোর দুবার।দান্তে অপর নারীর সঙ্গে সংসার পাতলেও বিয়াত্রিচেকে বিয়ে করেন নি। সেটা কি ছিলো দান্তের বিশ্বাস ঘাতকতা? দান্তে নিজেই তার মহাকাব্যের ৩১-ক্যান্টোতে বলেছেন, বিয়াত্রিচের মৃত্যুর শেষ দশ বছরে দান্তে কীভাবে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন।দান্তে অন্যান্য মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন এবং তার সৌন্দর্যের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না, যা ছিল না অন্যের মেকি সৌন্দর্য। বিয়াত্রিচে কেন বিয়ে করেনি, তা জানার আগ্রহ অনেকেরই আছে।বিয়ে করতে অস্বীকার করার কারণ হিসেবে বিয়াত্রিচে বলেছেন, তিনি তার স্বাধীনতা রক্ষা করতে চায়। তিনি তার স্বাধীনতা পরিত্যাগ করে একজন নিয়ন্ত্রক স্বামীর ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করতে রাজি নন।

দান্তে তাঁর জীবনের প্রেমকে অমর করতে রাখতে ৩১টি কবিতা এবং প্রাসঙ্গিক ভাষ্য রচনা করেছিলেন।আজ, আমরা জানি যে বিয়াত্রিচের প্রতি দান্তের প্রেম কতোটা খাঁটি ছিল।মিলনের স্পৃহায় উন্মত্ত না হয়ে এক পলকের ক্ষণিক দেখার আত্বিক প্রেম কিভাবে চল্লিশ বছর যাবত অনুপ্রেরণার খোরাক হয়, বিশ্বের ইতিহাসে তেমন নজির বিরল।বিয়াত্রিচে দান্তের কাছে এমন এক নারী, যার আবির্ভাব দেবদূতরূপে। সে দাঁত্যাকে পথ প্রদর্শন করতেন স্বর্গীয় দীপ্তিতে। তবে তিনি বাস্তব জগতের একজন নারী হিসেবে রয়ে গিয়েছিলেন ফ্লোরেন্সের রাস্তায় এনান্তি দান্তের হৃৎস্পন্দ হয়ে, তাঁর আত্মার আকুতিকে জয় করে, আর হৃদয়কে পরাজিত করে। আর এভাবেই বিয়াত্রিচে হয়ে ওঠেন দান্তের কাব্যদেবী, মানস ললনা। হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণা, সৌন্দর্য এবং অনুগ্রহের আদর্শের প্রতিনিধি।

১২৯০ সালের ০৮ জুন মাত্র ২৪ বছর বয়েসে অ্যাভিঞ্জার আলিগিয়েরোর তরোয়ালের আঘাতে বিয়াত্রিচের মৃত্যু ঘটে।বিয়াত্রিচের প্রতি দান্তের মিনতি,‘তোমার সুরক্ষা তোমার মানবিক দুর্বলতাকে কাটিয়ে তুলুক: দেখো বিয়াত্রিচে অনেক সাধুসন্ত আমার সাথে তাঁদের প্রার্থনার জোর হাত তুলছে।’ দান্তের বিলাপের ভাষা এ রকম,

‘Weep you lovers, since Love is also weeping,

and hear the reason that makes him full of tears.’

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :