সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে প্রধান আসামি বাবুকে আনা হচ্ছে ঢাকায়

‘সংবাদ প্রকাশের জেরে’ জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটির একটি চরাঞ্চলে আত্মীয় বাড়ি থেকে শনিবার সকালে চেয়ারম্যান বাবুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ঢাকায় আনার পরে তাকে জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে ঢাকায় আনার পর সন্ধ্যায় সম্মেলন করে তার ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’
>> আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যায় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুসহ ২২ জনের নামে মামলা
এদিকে নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাদিম হত্যায় প্রধান আসামি বাবু ছাড়াও আরও ১০ জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বুধবার রাতে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নাদিম অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
নাদিমের পরিবারের অভিযোগ, সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবু নাদিমকে খুনের হোতা। বাবুর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই নাদিমকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও তার লোকজনরা নাদিমের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার স্বামীর ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চাই।’
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি পরপর দুবার নৌকার মনোনয়ন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এসএস/ডিএম)

মন্তব্য করুন