সাংবাদিক নাদিম হত্যা: জেলে বসেই এমপির সঙ্গে যোগাযোগের দাবি বাবু চেয়ারম্যানের

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫৯
অ- অ+
মুক্তির পর রাতে স্থানীয় স্কুলমাঠে অনুসারীদের নিয়ে মতবিনিময় করেন বাবু চেয়ারম্যান

জামিনে মুক্তি পেয়েই নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।

বুধবার বিকালে জেল থেকে বের হয়েই দলবল নিয়ে করেছেন ব্যাপক শোডাউন। এরপর রাতেই তার একটি বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়— জেলে বসেই তিনি স্থানীয় এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সংসদ সদস্য তাকে জেল থেকে বের হয়ে এলে মামলার মীমাংসা করে দেবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বুধবার রাতে ৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার সাধুপাড়া ইউনিয়নের কামালেরবার্ত্তী কেবি হাইস্কুলে নিজের অনুসারীদের সঙ্গে ওই বক্তব্য দেন বাবু চেয়ারম্যান।

বক্তব্যে তাকে বলতে শোনা যায়, জেলে বসে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের সঙ্গে তার অনেকবার কথা হয়েছে। তিনি (এমপি) বলেছেন, বাবু তুমি বের হয়ে আসো। এই মামলা তোমাকে মীমাংসা করে দেওয়া হবে।

ভিডিওর শেষের দিকে চেয়ারম্যানকে (সাবেক) বলতে শোনা যায়, ‘এবারের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ সাহেব (জামালপুর-১, বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) অত্যন্ত ভালো লোক। আমার সঙ্গে জেলে অনেকবার কথা হয়েছে। আমার ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের কথা বলেছেন।’

এ বিষয়ে হত্যার শিকার সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য যদি এই কথা বলেন— তাহলে আমরা বিচার নিয়ে শঙ্কায় আছি। আর হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হয়ে তিনি কীভাবে বলেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা অনেক আতঙ্কে আছি আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে।’

এ বিষয়ে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০২৩ সালের ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় সাধুরপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলে গুরুতর আহত করে। পরদিন ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মাহমুদুল আলম বাবুকে ২০২৩ সালের ১৭ জুন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/প্রতিনিধি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ক্রিমিনাল ডাটাবেইজ পর্যালোচনার মাধ্যমে ছিনতাইকারী চক্র শনাক্ত করেছি: নাসিরুল ইসলাম
‘ওয়্যার ৩৬৫’ চালু করলো ব্র্যাক ব্যাংক  
গাইবান্ধায় দেয়াল চাপায় নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ভৈরবে সিএনজিচালকদের সড়ক অবরোধ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা