আন্দোলন খেলা বন্ধ করে বিএনপিকে জনগণের কাছে যেতে বললেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

আন্দোলন-আন্দোলন খেলা বন্ধ করে বিএনপি নেতাদের জনগণের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। বলেন, অতীতের অপকর্ম, লুটপার্ট, অর্থপাচার, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার জন্য ক্ষমা চান। সাড়ে চৌদ্দ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন, জনগণের সাড়া নেই। যে আন্দোলনে জনগণের সাড়া নেই, সে আন্দোলন কোনদিন সফল হয় না।

শনিবার বিকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপির যদি জনগণের সমর্থন ও নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি থাকে তাহলে নির্বাচনে আসুক। জনগণই তাদের সমুচিত জবাব দিয়ে দেবে। আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের দেশের গণমানুষের দল।

এনামুল হক শামীম বলেন, এদেশের জনগণ কিন্তু পেট্টোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার কথা ভুলে নাই। জনগণ বিএনপিকে আবারও প্রত্যাখানের জন্য প্রস্তুত। আর এত আন্দোলনের হুংকার না দিয়ে বিএনপি নিজের নেতৃত্ব আগে ঠিক করুক। ওই দলে দুই শীর্ষ নেতাই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বাসায়। আর তার ছেলে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক থেকে দেশকে অশান্ত করার প্রেসক্রিপশন পাঠায়। আবারও দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ এদেশের জনগণকে সঙ্গে মাঠে নামলে বিএনপির পালানোর পথ থাকবে না।

তিনি বলেন, আগুন-সন্ত্রাস ও লুটপাটকারী দল বিএনপি সব ষড়যন্ত্র, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণায় মগ্ন। বিদেশিরা কখনো আর এদেশের ক্ষমতার মসনদ পরিবর্তন করতে পারবে না। সময় থাকতে বিএনপিকে জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। সংবিধান সম্মতভাবে অনুষ্ঠিত আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় যেভাবে অতীতে জনগণ দ্বারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, ভবিষ্যতে বিএনপির অস্তিত্ব সংকটে পড়তে হবে।

আরও পড়ুন: খুঁটিতে বাঁধা ছোট্ট ইতির জীবন

কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন শিকারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, আওয়ামী কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, উপদেষ্টা আবুল বাশার দেওয়ান, সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিহির চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এসএম)