মধুমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

গোপালগঞ্জে মধুমতি নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের এই মহোৎসব চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
ভাসমান কার্গোর ওপর ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে মোটা পাইপলাইনের মাধ্যমে ২-৩ কিলোমিটার দূরের নিচু ও জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে মধুমতির বালু দিয়ে। এ ছাড়া প্রতিদিনই শত শত ট্রাক বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে এই মধুমতি নদী থেকে।
গোপালগঞ্জে মধুমতি নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে চাপাইল ব্রিজ, জালালাবাদ, ঘোড়াদাইড়, ফুকরাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মধুমতি চরের কয়েকশ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে চরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আবাদ করা খেত নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে মধুমতি নদী থেকে শক্তিশালী কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এতে প্রতি বছর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র বসতি স্থাপন করেছে অনেক পরিবার।
মধুমতি তীরের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবৈধ বালু তোলার ধুম পড়েছে। রাতদিন সমানভাবে বালু তোলার কারণে একটি অসাধু স্বার্থান্বেষী চক্র আর্থিকভাবে পকেট ভারী করলেও নদীর তীর, কৃষকের ফসলি জমি, নদী শাসন ব্যবস্থা, নদী পাড়ের বাসিন্দারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
বিগত দুই-তিন বছর ধরে মধুমতি নদীর বুক থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। অবাধে ও অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে নদী তীরবর্তী পরিবারগুলোর বসতি এবং নদী শাসন ব্যবস্থা ক্ষতির মুখে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে এ এলাকার আবাদি জমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বালু উত্তোলনের কারণে ইতোমধ্যেই নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: গরুর খামারে সফল ষাটোর্ধ্ব মান্নান, কোরবানির হাটে নেবেন ২১টি ষাঁড়
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এস.এম. রেফাত জামিল বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কোনো সুযোগ নেই। এখনই বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। অপরিকল্পিতভাবে বালু কাটলে নদীর গতি পথ পাল্টে যায়। প্রবাহ কমে যায়, নদীতে ভাঙন সৃস্টি হয়। এর প্রভাব পরিবেশের উপর পড়বে।
(ঢাকাটাইমস/২০জুন/এসএম)

মন্তব্য করুন