মানিকগঞ্জে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ উপজেলা চেয়ারম্যানের

নিজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান।
শুক্রবার বিকালে উপজেলা চত্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দাবি করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এমপি হিসেবে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া হরিরামপুরে একটি বালু মহল ইজারাকে কেন্দ্র করে এমপি মমতাজ বেগম ও তার অনুসারীরা তার ওপর নাখোশ হয়েছেন। এর জের ধরে হরিরামপুরে তার (দেওয়ান সাইদুর রহমান) অনুসারী আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। ওই সব মামলায় তার ছেলেকেও আসামি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হরিরামপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে দাবি করে দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি এমপি মমতাজ বেগমের লোকজনের হাতে আহত হয়েছেন ধুলশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী কালাম। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন তাকে রক্তাক্ত করে। এরপর থানায় নিয়ে পুলিশের সামনেই পুনরায় মারধর করা হয়। হামলায় আহত হওয়ার পর আবার তাকেই মামলার আসামি করা হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লিয়াকত আলী, বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হায়দার আলী তারেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ, বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুর রহমান ফরিদ প্রমুখ।
এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে বলেন, আমাদের এমপি কোন সন্ত্রাসী বাহিনী পালেন না। আমরা কাউকে হামলা করিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান তার ছেলেসহ লোকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। বালু মহালের নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে মাটি কাটছে চেয়ারম্যান। আমরা বালু মহালের বিরোধীতা করিনি। বেরিবাঁধ হুমকিতে পরবে বলে বালু মহাল নিয়ে কথা বলেছি।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, আমি ১৫ বছর ধরে এলাকায় উন্নয়নের রাজনীতি করছি। আমি শিল্পী মানুষ, আমি কাউকে ধমক দেইনি, কোন দিন সন্ত্রাসের রাজনীতিও করিনি। আমার কোনো সন্ত্রানী বাহিনী নেই। দেওয়ান সাইদুর রহমান কি করেন তা ওই এলাকার জনগণ জানেন। তার লোকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর করছে। বালু মহালের টেন্ডার তিনি পেয়ে নদীর পাড়ের বাঁধ ঘেষে বালু কেটে নিচ্ছেন। এতে বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে ও স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এই কারণে ওই বালু মহাল বন্ধের জন্য ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। হরিরামপুরে আইনশৃংখলা অবনতির জন্য দেওয়ান সাইদুর রহমানই দায়ী।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ৪৭টি গরুসহ পদ্মায় ডুবল ট্রলার
হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার আদিত্যর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এসএম)

মন্তব্য করুন