পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘বিপজ্জনক উসকানির’ পরিকল্পনা নিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
রাশিয়া মস্কো-অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ‘বিপজ্জনক উসকানির’ পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে মঙ্গলবার ফোনালাপে তিনি এমন অভিযোগের পাশাপাশি পারমাণবিক প্ল্যান্টের নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।
জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইউরোপের বৃহত্তম প্ল্যান্ট। এটিকে ঘিরে একটি ঘটনার প্রস্তুতির ব্যাপারে কিয়েভ এবং মস্কো একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে সতর্ক করে জানিয়েছি যে, দখলদার সৈন্যরা জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টে বিপজ্জনক উস্কানি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আইএইএ (আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা) এর সাথে পরিস্থিতি সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্মত হয়েছি।’
জেলেনস্কি তার সন্ধ্যার ভাষণে বলেছেন, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদের মতে, রাশিয়া প্লান্টে ‘বিস্ফোরকের মতো বস্তু স্থাপন করেছে’। সম্ভবত প্লান্টে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। হয়ত তাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু যাই ঘটুক, বিশ্ব তা দেখছে। পারমাণিবিক বিকিরণ বিশ্বের সকলের জন্য হুমকি।
এর আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বিস্ফোরক স্থাপন সম্পর্কে সতর্ক করে জানায়, সাইটে তৃতীয় এবং চতুর্থ চুল্লির বাইরের ছাদে বিস্ফোরক ডিভাইসের মতো বাহ্যিক বস্তু স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে মস্কোতে রাশিয়ার রোসাটম পারমাণবিক সংস্থার উপদেষ্টা রেনাত কারচা কিয়েভকে প্লান্টে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আজ, আমরা এমন তথ্য পেয়েছি যে, আমি দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দিতে পারি ৫ জুলাই আক্ষরিক অর্থে রাতে, অন্ধকারে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আক্রমণ করার চেষ্টা করবে।’
কারচা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া বক্তব্যে দাবি করেছেন, ইউক্রেন ড্রোনের পাশাপাশি ‘উচ্চ প্রযুক্তির-নির্ভুল, দূরপাল্লার অস্ত্র’ ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়মিতভাবে একে অপরকে প্লান্টের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ করে আসছে।
(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/ডিএম)