রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জন ভর্তি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার সকালে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হঠাৎ করেই ঢাকায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। আর এই সময় ঈদের ছুটিতে ঢাকাবাসীদের অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী অনেকেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
রামেক হাসপাতালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রামেক হাসপাতালের ৩০নং ওয়ার্ডটি করা হয়েছে ডেঙ্গু ওয়ার্ড। বর্তমানে এই ওয়ার্ডে মোট ১১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তরা সবাই রাজশাহীর বাইরে থেকে ঈদ করতে রাজশাহীতে এসেছিলেন। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা যে কোনোভাবে ঢাকা ছিলেন বা কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় গিয়েছিলেন।
রাজশাহীর বাঘায় চার দিনে ছয়জনের পরীক্ষায় দুজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত ছয়জনের ডেঙ্গু রোগীর এনএসআই পরীক্ষা করা হয়ে। পরীক্ষার ফলাফলে দুজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার বাঘার চন্ডিপুর গ্রামের আবু সাঈদ (২৬) নামের একজন ও রবিবার ঢাকা চন্দ্রগাথি গ্রামের বাপ্পু রহমান নামের একজনের শরীরে ডেঙ্গুর অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে।
বাপ্পু রহমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আবু সাঈদ বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আবু সাঈদ জানান, পাবনায় এক আত্মীয়র বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে রাতে মশারি ছাড়াই ঘুমাচ্ছিলেন। সেখানে মশার উপদ্রব ছিল। কোন ধরনের মশা বুঝতে পারেননি। সেখান থেকে ফিরে আসার পর জ্বর দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে ওষুধ সেবন করেও কাজ হচ্ছিল না। পরে রক্ত পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
বাপ্পু রহমানের বাবা সাহেদ আলী জানান, তার ছেলে মুন্সীগঞ্জ এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত ছিল। জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসার পর তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে সে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
রামেক হাসপাতালের ডেপুটি মেট্রোন সুফিয়া খাতুন জানান, আক্রান্তদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তি অন্য রোগীদের অবস্থা ভালো।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়দের কেউই এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা ঢাকা বা আশপাশের জেলার। ঈদের ছুটিতে তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেশের বাড়ি এসে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে হাসপাতালে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এফএম শামীম হোসেন জানান, আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে বসবাসকারী কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়নি। তিনি নিজে সার্বক্ষণিক ডেঙ্গু রোগীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক তদারকি করছেন বলে জানান এই সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন