হঠাৎই মাথা ঘোরা, চোখে অন্ধকার? ভয়ংকর কোনো রোগের ইঙ্গিত নয় তো
আপনি কি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘোরা অনুভব করেন বা মাঝে মাঝে হঠাৎ বেহুঁশ বোধ করেন? চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখতে পারেন। কিছু একটা ধরে বসে পড়লেন। প্রথমবার হওয়ায় তেমন পাত্তা দিলেন না।
এই মাথা ঘোরা, হালকা লাগা বা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যা কি কোনো জটিল রোগের উপসর্গ? চিকিৎসকদের মতে, বিভিন্ন কারণে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এর প্রধান কারণ ভার্টিগো। যদিও এই ভার্টিগো কোনো মেডিকেল অবস্থা নয়। বরং বলা চলে, কোনো রোগের উপসর্গ হতে পারে।
কিন্তু রোগ ছাড়া যদি আপনি ক্রমাগত মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করার সম্মুখীন হন, তাহলে সচেতন হওয়া জরুরি। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও এমনটা হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে অর্থোস্ট্যাটিক এবং পোস্টুরাল হাইপোটেনশনের কারণে হঠাৎ ভার্টিগো হতে পারে, যা নিম্ন রক্তচাপের একটি লক্ষণ।
এ ছাড়াও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কখনো কখনো ঘুম থেকে ওঠার পরও মাথা ঘুরতে পারে। কানের ভেতরে কোনো সমস্যা হলেও এমন সমস্যা হতে পারে। গরমে ঘেমে হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে মাথা হালকা হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হতে পারে।
হৃদযন্ত্রের পেশি সংকুচিত বা প্রসারিত হওয়ার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হলেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। আবার সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হলেও মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।
মাথা ঘোরা কমাতে বারবার পানি খেতে পারেন। এতে বেশ তাড়াতাড়ি কমতে পারে সমস্যা। শরীরে পানির ঘাটতি হলে এই সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। সব বয়সেই এই রোগ হওয়া সম্ভব।
তবে মাথায় রাখতে হবে যে, ষাটোর্ধ্বদের মধ্যেই ভার্টিগো বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া এখন ছোটদেরও এই রোগ হয়।
যদি স্ট্রেস আপনার জন্য ভার্টিগোর কারণ হয়ে থাকে, তাহলে মানসিক চাপ কমানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনি গান শুনতে পারেন, ধ্যান করুন। যোগব্যায়াম করলেও মানসিক চাপ কমতে পারে। ক্যাফেইন যুক্ত খাবার ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
প্রসঙ্গত, ভেস্টিবুলার সিস্টেমের গোলমাল হলেই মূলত ভার্টিগো হয়। মস্তিষ্কের যে অংশ কিংবা ভেস্টিবুলার যে সব স্নায়ু দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে, সেগুলোতে সমস্যা দেখা দিলেই ভার্টিগো হতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এজে)