পাটের দাম নিয়ে হতাশ দামুড়হুদার চাষিরা

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৫৮ | প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৪৬

চলতি বছর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পাটচাষিরা পাট ছাড়ানো ও শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে পাটের বীজ বপন থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে তাতে করে বর্তমান বাজারদরে পাট বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন উপজেলার সাধারণ কৃষকরা। পাটের বাজারমূল্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন চাষিরা।

দামুড়হুদা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ বছর দামুড়হুদা উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে কম।

জানা গেছে, পাটের ফলন মৌসুমের শুরু থেকে বাজারে দাম ছিল মণ প্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। বর্তমানে এ সপ্তাহে পাটের বাজারধর কমে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা বলেন, বর্তমানে মণপ্রতি পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা। বাজার অনুযায়ী পাটের দাম আরও কমে যেতে পারে। পাট ঘরে তুলতে যে খরচ হয় তাতে করে বর্তমান দাম অনুযায়ী বিক্রি করলে খরচ ওঠানো যাচ্ছে না লোকসানে পড়তে হচ্ছে। কষ্টটাই বৃথা যায়। বাজারে দাম কমে গেলে আমাদের মতো কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বে। আমরা ফসল ঘরে তুলে মজুদ করতে পারি না। টাকার জন্য বিক্রি করতেই হয়।

সামাদ নামের এক কৃষক বলেন, পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি করা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। শুনেছি সামনে আরও কমবে পাটের দাম। এভাবে দাম কমতে থাকলে লোকসান গুনতে হবে। মজুদ করার মতো জায়গাও নেই আমাদের।

উপজেলার বিভিন্ন হাটে কৃষকদের একটা অংশ পাট বিক্রি করার দৃশ্য দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন, টাকা খরচ করে আবাদ করেছেন। পাট বিক্রি করে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ করবেন। কেউ ঋণ করেছেন। এসব চাহিদা মেটানো এবং আগামী ফসলের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পাট বিক্রি করতেই হচ্ছে তাদের।

পাট ব্যবসায়ী আব্দুল বারী বলেন, গত সপ্তাহ থেকে পাটের দাম কমতে শুরু করেছে। আগে যে পাট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন সেই পাট ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী মনে হচ্ছে দাম আরও কমতে পারে।

জানতে চাইলে দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, প্রতি বছরই এখানে পাটের ফলন ভালো হয়। চলতি বছরও মোটামুটি ভালো ফলন হয়েছে। তবে এ বছর বাজারে পাটের দাম কিছুটা কম। আশা করি পাটের দাম বাড়বে।

(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :