দেশে নিরাপদ পানির টেকসই সহজলভ্যতা নিশ্চিতে কাজ করছে টিসিসিএফ
পৃথিবীজুড়ে পানির অনিরাপত্তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় পানির অভাব এবং সরবরাহের চেয়ে বেশি নিরাপদ, ব্যবহারযোগ্য পানির চাহিদার মাধ্যমে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির কাছে পানি সংক্রান্ত উদ্যোগগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানিটির জনকল্যাণকর অংশ দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ) জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ খাবার পানির টেকসই সরবরাহ সহজলভ্য করতে এবং স্বাস্থ্যকর বাস্তুতন্ত্র ও জলাশয়ের উন্নয়নে সাহায্য করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অলাভজনক সংস্থাকে অর্থ প্রদান করে।
বর্তমানে টিসিসিএফ বাংলাদেশে ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্সেস গ্রুপ, ওয়াটারএইড এবং ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দ্য আরবান পুওর (ডব্লিউএসইউপি)-এর মতো সংগঠনের সাথে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে কাজ করছে। এসব পার্টনারশিপ বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ৬, ১২, ১৪ ও ১৭ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করছে।
বিশ্ব পানি সপ্তাহ ২০২৩-এর বৈশ্বিক থিম “সিডস অফ চেইঞ্জ: ইনোভেটিভ সলিউশনস ফর আ ওয়াটার-ওয়াইজ ওয়ার্ল্ড”-এর সাথে মিল রেখে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন এবং পার্টনাররা (ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, ডব্লিউএসইউপি এবং ২০৩০ডব্লিউআরজি) সাভার, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই যৌথ উদ্যোগগুলো পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় পানি নীতিসহ সারা দেশে পানির টেকসই ব্যবহার সংক্রান্ত নীতি প্রচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সরাসরি সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, “নিরাপদ পানির টেকসই সহজলভ্যতা দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে পানির সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমাদের বাস্তবায়নকারী পার্টনারদের কাজে সহায়তা করতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত।”
(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/কেআর)