পাপ কাউকে ছাড়ে না: প্রধানমন্ত্রী
পাপ কাউকে ছাড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে জিয়াউর রহমান হত্যা করেছিল, একইভাবে তাকে খুন হতে হয়েছিল। তিনিও খুন হন। কিন্তু জিয়াউর রহমানের লাশের খবর নাই।
বুধবার বিকালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে জিয়াউর রহমান করেছিল, একইভাবে তাকে খুন হতে হয়েছিল। তিনিও খুন হয় কিন্তু জিয়াউর রহমানের লাশের খবর নাই। সংসদ ভবনের কবর দেওয়া আছে, সেখানে তার লাশ নাই। এরশাদ এই কথা বলে গেছে। তিনি বলেছিলেন জিয়াউর রহমানের লাশ তো পাওয়া যায়নি। কারণ জিয়ার লাশ খালেদা জিয়া দেখে নাই। জিয়ার লাশ তার ছেলে তারেক রহমান দেখে নাই। কোকো দেখে নাই, তার পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন কেউ দেখে নাই। এরশাদ একটি বাক্স এনে জনগণকে ধোকা দিয়ে সংসদ ভবনের জায়গায় মাটি দিয়ে রেখে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখানে ফুল দেয় জিয়াউর রহমানের করব বলে সেটাও অবৈধ স্থাপনা। কাকে দিচ্ছে ফুল তারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) কি সেটা জানে? জানে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৫ আগস্টে আমাদের শোক দিবস এইদিনে আমাদের চেনা-পরিচিত কেউ জন্মদিন পালন করে। বিএনপি ১৯৯১ সালে পরে শুনলাম খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট। কত বড় বেইমান তিনি। সারাদেশে মানুষ যখন শোক পালন করে সেই দিন জন্মদিন পালন করে কত বড় বেইমান আর অমানবিক হলে।
বিদেশি দেশগুলোর সমালোচনা করে সরকারপ্রধান আরও বলেন, যারা এখন মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, যখন আমার বাবা-মা হত্যা করা হয়েছিল তখন এই মানবাধিকার কোথায় ছিল। বাবা-মায়ের খুনি রাশেদ আমেরিকায় আছে। বারবার অনুরোধ করার পরেও তারা তাকে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর খুনিকে তারা কেন লালন-পালন করে। আরেক খুনি নুর কানাডায় আছে। তাকেও ফেরত দেয় না। এছাড়া জাতির পিতার খুনি ডালিম পাকিস্তানে আছে।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের জন্ম হয়েছে হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভায় পায় না। যখন বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনি আমার অবাক লাগে। যাদের যাত্রা শুরু হয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে মানুষকে হত্যা করে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাদের (বিএনপির) কিছু প্রভু আছে, তারা একই সঙ্গে সুর মিলায় বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেই হবে।
ইউক্রেনের যুদ্ধের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কয়েকটি পরাশক্তি আছে। তারা এমন কাউকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসাতে চায় যারা তাদের পদলেহন করবে। তারা এখানে মোড়লিপনা করবে। কিছু বড় বড় দেশ আছে এরা কারো বন্ধু হলে তাদের আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না।
ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/জেএ/ইএস