মির্জাপুরে অর্ধশত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার পরিত্যাক্ত সরকারি সম্পত্তি বেহাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চার দশকের বেশিসময় ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকা এ সম্পত্তি হচ্ছে পৌর শহরের কাঁচা বাজার সংলগ্ন পাট গুদামের জায়গা।
জানা গেছে, মির্জাপুর পৌর সদরের কাঁচা বাজার সংলগ্ন পাট গুদাম হিসেবে পরিচিত বাইমহাটি মৌজার সাবেক দাগ ৫ ও ১৪৩, হাল দাগ ৬৩, ২৮৭ এবং ১/১ খতিয়ানে ৭৬ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই জমিটির মালিক ছিলেন মির্জাপুর গ্রামের নিকুঞ্জ বিহারী পোদ্দার। তিনি এই স্থানে বড় বড় গুদাম ঘর তুলে পাটের ব্যাবসা করতেন এবং পাটের বেল (গাইট) তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার প্রতিরক্ষা অর্ডিন্যান্স জারি করার ফলে সম্পত্তিটি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হয়।
সূত্র আরও জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু সরকার এখানে সরকারি পাট ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেন। ওই সময় সরকার পাটের সর্বনিম্ন মূল্য মণ প্রতি ৫০ টাকা ঘোষণা করায় স্থানীয় শত শত কৃষক এবং ফরিয়া ব্যবসায়ীরা এখানে পাট বিক্রি করতেন।
অভিযোগ রয়েছে সরকারি এই সম্পত্তিটি স্থানীয় ভূমিদস্যু একাধিক চক্র বিভিন্ন সময় দখলে নিতে নানাভাবে চেষ্টা করেছে।
মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সরকারি এই পাট গুমাদকে কেন্দ্র করে কাঁচা বাজার এলাকাটি জমজমাট হয়ে থাকতো। মূল্যবান এই সম্পত্তিটি দ্রুত সময়ে সরকারের হেফাজতে নেয়ার দাবি জানান তিনি।
মির্জাপুর পৌর ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান স্বপন জানান, মূল্যবান এই সম্পত্তিটির মালিকানা দাবি করে ওই জমিতে একসময় সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অপর একটি চক্র আদালতে মামলা করেছে।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সূচি রানী সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অল্প কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। খোঁজ নিয়ে সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৭ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)

মন্তব্য করুন