শিক্ষক একজন, ক্লাস নেন আরেকজন!

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৮| আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০০
অ- অ+

মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. মশিউর রহমান। কিন্তু তিনি মাদরাসায় যান না। তার পরিবর্তে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন বাকী বিল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভারচর দারুচ্ছুন্নাত দাখিল মাদরাসার।

গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদরাসাটিতে গিয়ে মশিউর রহমানকে পাওয়া যায়নি। আর সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখে সটকে পড়েন বদলি শিক্ষক বাকী বিল্লাহ।

অভিযুক্ত মো. মশিউর রহমান গোয়ালেরচর ইউনিয়নের আকন্দপাড়া গ্রামের মৃত মুছা আকন্দের ছেলে এবং গোয়ালেরচর আকন্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। বদলি শিক্ষক বাকী বিল্লাহ একই গ্রামের বাসিন্দা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেই গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘মশিউর রহমান একজন মামলাবাজ প্রকৃতির লোক। দীর্ঘদিন যাবত তিনি কখনো মাদ্রাসায় ক্লাস নেন না। তিনি শুধু বসে বসে বেতন নেন এবং বাকী বিল্লাহকে মাসে কিছু টাকা দেন। আর সময় করে একদিন মাদ্রাসায় গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আসেন। মাদ্রাসায় যদি বাইরের কেউ আসেন তাহলে বাকী বিল্লাহ নিজেকে মশিউর রহমান বলে পরিচয় দেন।”

বদলি শিক্ষক বাকী বিল্লাহ মোবাইল ফোনে জানান, ২০২২ সাল থেকে তিনি বদলি শিক্ষক হিসেবে মাদ্রাসায় ক্লাস নিচ্ছেন। প্রতি মাসে মো. মশিউর রহমান তাকে কিছু টাকা সম্মানি হিসেবে দেন। তার বাড়ি মাদ্রাসার কাছে হওয়ায় এবং তার কোনো কাজ না থাকায় মাদ্রাসায় ক্লাস নেন।

তবে এই কাজটি নিয়মের মধ্যে পড়ে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মোবাইল ফোন কেটে দেন বাকী বিল্লাহ।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মশিউর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, ‘আমার গ্রামে কয়েকজন শত্রু আছে। যারা আমার নামে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে থাকে। আমি যে মাদ্রাসায় ক্লাস নেই না বিষয়টি এমন না। যেদিন আমার কাজ থাকে সেই দিন বাকী বিল্লাহ ক্লাস নেয়। এই কাজটি অনেক দিন থেকে হয়ে আসছে।’

এই বিষয়ে জানতে মাদ্রাসাটির সুপারিনটেনডেন্ট মো. মোশাররফ হোসাইনের সঙ্গে দেখা করতে ৭ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে মাদ্রাসাটির সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘মো. মশিউর রহমান এই মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র ছিল। এরপর শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তবে তিনি ক্লাসে খুব কম আসেন। তার বদলি শিক্ষক বাকী বিল্লাহ মূলত ক্লাস নেন। আমরা এতটুকু জানি।

বদলি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে মো. মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়টি সুপারিনটেনডেন্ট সাহেব বলতে পারবেন। আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।

এসব বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি জানি না। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ ডিএমপির
‘জুলাই গণহত্যা’: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
গভীর রাত হলেই পদ্মায় শুরু হয় বালু উত্তোলনের মহোৎসব
রক্তমাখা কুড়াল আর গোলাপ নিয়ে ফারিণের এ কেমন ‘ইনসাফ’
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা