সালথায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল গৃহবধূর, জনমনে আতঙ্ক
ফরিদপুরের সালথায় এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিতু আক্তার কথা (২৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
মৃত মিতু আক্তার উপজেলা সদরের সালথা গ্রামের জুয়েল মাতুব্বরের স্ত্রী। তার তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে সালথায় গত কয়েক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ মাসের গর্ভের সন্তানসহ চারজনের মৃত্যু হয়। ডেঙ্গুতে একের পর এক এমন মৃত্যুর ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মৃত মিতুর দেবর যুবলীগ নেতা মো. বাদল হোসেন জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয় মিতু আক্তার। পরে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা তিনদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে তিনি মারা যান। তার ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মা ছাড়া এই ছেলেটার অবস্থা এখন কি হবে, সেই চিন্তায় রয়েছে পরিবার। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে, তাতে আমরা আতঙ্কে আছি।
মিতুর মৃত্যুর বিষয় বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা. মো. এনামুল হককে ফোন করা হলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানান।তবে মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে ২৭৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৭৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ৩৫৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরআগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২১ আগস্ট শাহ আলম ও ১০ সেপ্টেম্বর শামসুল হক নামে দুই যুবক ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নওরিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর গর্ভের সাত মাসের সন্তান পেটের ভেতর মারা যান। এর দুই দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর নওরিন নিজেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
(ঢাকা টাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)
মন্তব্য করুন