টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ইয়াবার বড় চালান জব্দ, স্ত্রী আটক— চোরাকারবারি পলাতক

টেকনাফে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৮১ হাজার ৩৫৫ পিস ইয়াবা ও নগদ এক লাখ টাকার বেশি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় একজন নারীকে আটক করা হলেও মূল অভিযুক্ত সোনা মিয়া বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
বুধবার গভীর রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে চালানো এ সাড়াশি অভিযানে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে, মায়ানমার থেকে সাগরপথে আসা একটি বড় ইয়াবা চালান সাবরাং ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা করাচিপাড়ার একটি বাড়িতে মজুদ রয়েছে। পরবর্তীতে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে বিজিবির একাধিক বিশেষায়িত দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাদিক রাফির নেতৃত্বে একটি টহল দল করাচিপাড়ার চিহ্নিত চোরাকারবারি সোনা মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তল্লাশিতে ৮১ হাজার ৩৫৫ পিস ইয়াবা ও নগদ ১ লাখ ১ হাজার ৯৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে সোনা মিয়া পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী রুজিনা আক্তারকে আটক করা হয়।
আটক রুজিনা আক্তার (৩৯) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার হাতিয়ার ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা। পলাতক সোনা মিয়া (৩৭) একই এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
বিজিবি জানায়, আটক নারী ও উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও নগদ অর্থ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লে. কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, মাদক ও চোরাচালান দমনে বিজিবি সর্বদা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য করুন