বিধিতে নেই, তবুও এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বাসভবন চান বিএসএমএমইউ ভিসি

সরকারি বিধিতে স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরকারি বাস ভবন বরাদ্ধ দেওয়া নিয়ম নেই। তবুও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা তাকে বরাদ্দ দিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
গত দেড় বছর ধরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি করছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। তিনি বলছেন, সরকার চাইলে বিধি পরিবর্তন করে বাসা বরাদ্দ দিতে পারেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলছে, স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাসা বরাদ্দ দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তাদের আবাসনের ব্যবস্থা নিজেদের করা উচিৎ। তাদের সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকা উচিৎ হবে না। আর এলিফ্যান্ট রোডের ওই বাসায় সরকারি কর্মচারীরা থাকেন। এখন যদি বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদকে ওই বাসা দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে অবস্থানরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোথায় যাবেন?
উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি নেই, টাকাও নেই। তিনি বলেন, ‘গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বলা হয়েছে, বাসা দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু আমি অনুরোধ করব সুযোগ তৈরি করার জন্য।’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বাসভবনের জন্য প্রথম দফায় চিঠি দেন অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সরকারি বাসা চেয়ে আরেকটি চিঠি দেন তিনি।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দেওয়া প্রথম চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শারফুদ্দিন আহমেদের জন্য গুলশানে সরকারি একটি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেখানে তিনি যাননি। আর গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এখন বলছে, বিএসএমএমইউ উপাচার্যকে ওই বাসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। কারণ, স্বায়ত্তশাসিত বা বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কাউকে সরকারি বাসা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই। শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই আবাসন সুবিধা পেয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শারফুদ্দিন আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার নামে সরকারি বাসা এখনও বরাদ্দ হয়নি। সরকার চাইলে একটি বাসা বরাদ্দ দিতে পারে। বিধিতে না থাকলে সরকার চাইলে বিধি পরিবর্তন করতে পারে।
২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চিঠিতে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, বিএসএমএমইউ জাতির পিতার নামে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের চিকিৎসা জগতের সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন প্রায় আট হাজার সাধারণ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয় এ হাসপাতালে।
বৈকালিক বিশেষায়িত সেবা দেওয়ার মাধ্যমে দেশের সাধারণ রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬টি বিভাগের মাধ্যমে মেডিকেল শিক্ষার স্নাতকোত্তর এমডি, এমএস ডিগ্রি, ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি এলিফ্যান্ট রোডের বাসাটি উপাচার্যের নামে বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বর্তমানে ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কর্মকর্তারাও নিজেদের বাসায় বা ভাড়া বাসায় থাকেন।
(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এএ/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
প্রশাসন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
প্রশাসন এর সর্বশেষ

সারা দেশে র্যাবের ৪২৬ টহল দল মোতায়েন

৭ম দফার অবরোধ: সারা দেশে ২৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

ঢাকাসহ দেশজুড়ে ২৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

৭ম দফা অবরোধ: সারা দেশে র্যাবের ৪৩০ টহল দল মোতায়েন

অর্থনৈতিক বিভাগের সচিব হলেন শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী

চুক্তিতে আরও ছয় মাস শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকছেন এহছানে এলাহী

স্ত্রীর নামে অঢেল সম্পদ, অবসরে গেলেন পুলিশের আলোচিত সেই অতিরিক্ত ডিআইজি

যে কারণে ছদ্মবেশে মাঠে নেমেছে র্যাব

হরতালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ২৩১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
