খুলনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে থ্রি-হুইলার

খুলনা নগরীর সড়কে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থ্রি-হুইলার। কোনোভাবেই যেনো তাদের লাগাম টানা যাচ্ছে না। অদক্ষ আর কিশোরদের হাতে এসব তিন চাকার যানবহন থাকায় ট্রাফিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ যানবাহন। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়েই তোলা হচ্ছে যাত্রী ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ঘটছে হরহামেশা ছোট-বড় দুর্ঘটনাও।
নগরীর দৌলতপুর-খুলনা বেবি ট্যাক্সি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা থ্র্রি-হুইলার ড্রাইভার ইউনিয়নের তথ্যে জানা গেছে, শুধু খুলনা মহানগরীতে প্রায় ১২০০ বেশি সিএনজি চালিত তিন চাকার যানবাহন আছে। নগরীর কয়েক কিলোমিটার সড়কে চাহিদার তুলনায় বেশি যানবহন থাকায় তৈরি হওয়া যানজটের ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর কেএডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের সামনে একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে বেপোরায় গতিতে এসে একটি সিএনজি সরাসরি আঘাত করে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা এসে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহত ভুক্তভোগী কায়কোবাদ (বুলবুল) বলেন, কেএডিএ অ্যাভিনিউ সড়কে তিন চাকার থ্রি-হুইলার সিএনজি চালিত যানবহন প্রবেশ নিষেধ। আমি ফাঁকা সড়কের পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে সড়ক ক্রস করছিলাম উল্টোদিক থেকে সিএনজি এসে সরাসরি আমার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা নিরাপদ সড়ক চাইয়ের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেন বলেন, খুলনা নগরীর সড়কগুলোতে সব থেকে বেশি বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়ায় এসব তিনচাকার থ্রি –হুইলার সিএনজি চালিত যানবহন। আমরা আমাদের সংগঠন থেকে বেশ কয়েকবার এসব যানবহনের গতি নিয়ন্ত্রণে জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি পাশপাশি সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগকে অবগত করেছি। তাদের ইউনিয়ন খুব শক্তিশালী থাকায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব যানবহনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর-খুলনা বেবি টেক্সি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা থ্রি-হুইলার ড্রাইভার ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে প্রায় ১২০০ মতো যানবহন আছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন কিশোর চালক আছে। চালকদের লাইসেন্স থাকে না এমন তথ্য সব সঠিক না। কোনো চালকের লাইসেন্স না থাকলেও তাদের বিআরটিএর লার্নার আছে। প্রতি মাসে কেএমপির ট্রাফিক বিভাগ থেকে আমাদের চালকদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে কেএমপিরর ট্রাফিক বিভাগের ডিসি মনিরা সুলতানা বলেন, আমরা সবসময় কঠোর অবস্থানে আছি। প্রতিমাসে আমরা দৌলতপুর-খুলনা বেবি টেক্সি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা থ্র্রি-হুইলার চালক ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও কিছু চালকরা আইন মানছে না বলে অভিযোগ আছে। আমরা বিষয়টি দেখছি ট্রাফিক আইন না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
(ঢকাটাইমস/২৪ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)

মন্তব্য করুন