গণমাধ্যমে ভিসানীতি আরোপে পিটার হাসের বক্তব্যের বিষয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপরও ভিসানীতি আরোপ হবে- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের এমন বক্তব্যের বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।
সোমবার এ বিষয়ে মার্কিন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি এরকম চিন্তা ও প্রক্রিয়ার কথা নিশ্চিত করেননি। তবে আগামী গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসবে না- সুনির্দিষ্টভাবে এরকম কথাও বলেননি তিনি।
মিলার বলেন, ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয়। আমরা নির্দিষ্ট সদস্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কথা বলিনি, যার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে। তবে এটি স্পষ্ট যে ভিসানীতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, শাসক দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর প্রয়োগ হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারে পিটার হাস বলেন, ‘বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপরও আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা।’
মার্কিন ভিসানীতিতে কারা আছেন আর সেই সংখ্যা কত জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, ‘কতজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে।’
শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।
এদিকে ব্রিফিংয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে দলটির দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কাছে।
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।
(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এফএ)

মন্তব্য করুন