পর্যটন বিকাশে খাদ্যের নিরাপদতার জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি গুরুত্বপূর্ণ: আব্দুল কাইউম সরকার
পর্যটন বিকাশে খাদ্যের নিরাপদতার জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরী গুরুত্বপূর্ন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার। তিনি বলেন, পর্যটনের জন্য দরকার ইতিবাচক পরিবেশ। খাদ্য নিরাপদতা নিয়ে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরীর উপর জোর দিতে হবে। এজন্য দরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
বুধবার সন্ধায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আয়োজিত `পর্যটন উন্নয়ন ও বিকাশে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা` শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রচারযন্ত্রের ভূমিকা উল্লেখ করে মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, " প্রচারযন্ত্রকে কোন বিষয় যথাযথভাবে না জেনে নেতিবাচকভাবে প্রচার করা যাবে না। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। খাদ্য নিরাপদতার বিষয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।"
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুন। তিনি তার উপস্থাপনায় পর্যটনের সমস্যা ও সম্ভাবনা, পর্যটন বিকাশে খাদ্যের ভূমিকা, পর্যটকদের খাবার বৈচিত্র্য, পথ খাবার, খাবার দূষণের কারণ ও প্রতিকার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পোড়া তেলের ব্যবহার, কীটনাশকের ব্যবহার ও এর ঝুঁকি, ফরমালিনের ব্যবহার ও আমাদের বিভ্রান্তি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান। তিনি টুরিস্ট আকর্ষণের জন্য খাদ্যের গুণগতমান বজায় রাখার উপর জোর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, " ২০৫০ সালে জিডিপির ১০ শতাংশ অর্জিত হবে পর্যটন খাত থেকে। এজন্য আমাদের খাদ্যের গুণগতমানের দিকে নজর দিতে হবে। "
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বিএফএসএ সদস্য জনাব মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ বলেন, ঐতিহ্যের সাথে জড়িত খাবারগুলোকে নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, "যেসব খাবার অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যের সাথে জড়িত, সেসব খাবার যদি যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে প্রস্তুত ও পরিবেশন করা হয়, তবে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। "
সভাপতির বক্তব্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান অভ্যন্তরীণ টুরিজমে আরো জোর দেয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/কেআর)