সেন্টমার্টিন থেকে সরানো হল সাত হাজার ২০০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য

পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে সাত হাজার ২০০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সরিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’।
গত বছরের মতো এবারও গত ৯ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত টানা তিনদিন সেন্টমার্টিন দ্বীপের অলিগলি ও সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্লাস্টিক বোতল, খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট, নানা ধরণের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহে নেতৃত্ব দেয় ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সেন্টমার্টিনে স্থানীয় সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসে ফেলে যান নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্য। সঙ্গে যোগ হয় স্থানীয়দের ব্যবহারিত বিভিন্ন পলিথিন বর্জ্য। অপচনশীল এসব প্লাস্টিক বর্জ্যের ভারে হুমকিতে পড়েছে ছোট্ট এই দ্বীপের প্রাণ-প্রকৃতি।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ১৫০টি প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি করে ২টি ট্রলারে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। পরে প্লাস্টিকের এই বর্জ্যগুলো ট্রাকযোগে টেকনাফ পৌরসভার বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী এবং ওশান কনজারভেন্সির বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, সামুদ্রিক আর্বজনা বা মেরিন ডেবরিজ বর্তমান দুনিয়াতে বহুল আলোচিত। এর মূল কারণ হিসেবে মেরিন ডেবরি থেকে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক/মাইক্রোফাইবার বা যেকোনো ধরণের প্লাস্টিকের কণা সামুদ্রিক পরিবেশ তথা যেকোনো পরিবেশের সঙ্গে যে হারে মিশে যাচ্ছে, তাতে আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলে প্লাস্টিকের উপস্থিতি, মানবদেহে, রক্তে, মলে এমনকি মাতৃদুধেও প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাচ্ছে।
সেন্টমার্টিনের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, সেন্টমাটিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয়। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব হবে। আগামীতে সেন্টমার্টিনে এ ধরণের কর্মসূচির আয়োজন করলে দ্বীপের পরিবেশের জন্য তা খুবই উপকার বয়ে আনবে।
(ঢাকাটাইমস/১২ অক্টোবর/ইএইচ)

মন্তব্য করুন