সড়ক সংস্কারের দাবিতে সৈয়দপুর পৌরসভা ঘেরাও

সড়ক সংষ্কারের দাবিতে এবং অটোরিকশা আটকের প্রতিবাদে পৌরসভা ঘেরাও করেছেন মালিক ও চালকরা। এ সময় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন তারা।
বুধবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
পৌরসভা চত্বরে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ইজিবাইক মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আসলাম। তার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অটোচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চালক জাবেদ আলম, ফরহাদ হোসেন ও আরমান আলী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সৈয়দপুর শহরের ৮০ ভাগ সড়কেরই জরাজীর্ণ অবস্থা। বিশেষ করে প্রধান সড়কগুলো বেহাল। তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙছে যানবাহন, নষ্ট হচ্ছে মালামাল এবং আহত হচ্ছে লোকজন।
তারা বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর যাবত অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছ সৈয়দপুরবাসী। পৌরসভা জনভোগান্তি লাঘবে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। মাঝে আন্দোলন করায় ২৮ লাখ টাকা খরচ দেখিয়ে লোক দেখানো থুক পালিশ করে জনগণের টাকা তসরুপ করা হয়েছে। এক মাসও টেকেনি ওই জোড়াতালির সংষ্কার। আবার বর্ষার সময় মাটি ও রাবিস দিয়ে রাস্তার বড় বড় গর্ত ভরাট করায় কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে তা আরও কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা খুবই ঝুঁকি নিয়ে কষ্ট করে চলাচল করছি। রাস্তা খারাপ থাকায় যেমন অতিরিক্ত সময় লাগে তেমনি যাত্রীও কম হয়। এতে শ্রম বেশি হলেও আয় নেই। এই পরিস্থিতিতে পৌর কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে উল্টো মরার উপর খাড়ার ঘাঁ মারছে।
এ সময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেন এসে পরিস্থিতি শান্ত করে বলেন, আমি নিজেই বুঝি রাস্তাগুলোর করুণ দশা। আমরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারিনি। তাই সকলের দুর্ভোগ হচ্ছে। যান চালকদের আরও দূরহ অবস্থা। তবে এতবড় রাস্তা সহসাই ঠিক করা সম্ভব নয়। অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেইনটেনেন্স করে আপাতত চলাচল যোগ্য করা হবে। এর আগে কোনো ট্যাক্স বা লাইসেন্স বাবদ টাকা নেয়া হবে না। তার আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫ অক্টোবর/ইএইচ)

মন্তব্য করুন