বিবাহ নিবন্ধন নিয়ে জালিয়াতি, রেজিস্ট্রার বিথী রানীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গাইবান্ধা সদরে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক বিথী রানী রায় ও তার সহযোগী দীপক রায়ের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী নিরঞ্জন চন্দ্র সরকারের অভিযোগ, তার বড় মেয়ের সংসার ভাঙতে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও তার সহযোগী প্রতারণা করেছেন।
অভিযুক্ত বিথী রানী রায় ও তার সহযোগী দীপক রায় উভয়ে স্বামী স্ত্রী এবং তারা শহরের মধ্যপাড়া স্কুল লেনের বাসিন্দা।
অভিযোগের বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নিরঞ্জন চন্দ্র সরকারের মেয়ে শ্রাবনী রানীর সঙ্গে মিঠুন কুমার হালদারের ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিবাহ হয়। বিবাহটি নিবন্ধন করেন বিথী রানী রায়।
ভুক্তভোগী নিরঞ্জন চন্দ্র সরকার বলেন, বিবাহ নিবন্ধন সার্টিফিকেটের ৯নং কলামে শর্ত অনুযায়ী আমার মেয়ের স্বামী মিঠুন কুমার হালদার স্ত্রী ধনরূপ ১২ ভরি স্বর্ণ প্রদানের অঙ্গীকার করেন। একইসঙ্গে সাংসারিক সুখের জন্য মেয়ের স্বামীর ঘরে আসবাবপত্র, সাংসারিক বিভিন্ন মালামালসহ সাত লক্ষ টাকার জিনিসপত্র প্রদান করা হয়।
বিবাহের কিছুদিন পর থেকে আমার মেয়ের স্বামী মিঠুন কুমার হালদার আরও ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে আমি মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সর্বমোট ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করি। এরপরেও আমার মেয়ের কাছ থেকে আরও টাকা দাবি করে নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামী।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত মিঠুন কুমার হালদার আমার মেয়েকে যে ১২ ভরি স্বর্ণ প্রদান করার অঙ্গীকার করেন তা বিবাহ রেজিস্ট্রার বিথী রানী রায়ের মাধ্যমে বাতিল করে দেন। এদিকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট আমার মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তার স্বামী মিঠুন কুমার হালদার। তখন থেকেই আমার মেয়ে আমার বাড়িতে আছেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৭ নভেম্বর/ইএইচ)