গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান। মানুষ এখন খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও গুলিতে মারা যাচ্ছে। এটি যেন প্রতিদিনকার এক ভয়ানক বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসন থেমে নেই। বুধবারও (৯ জুলাই) গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিশেষ করে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের এক ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সহায়তা কেন্দ্রে নিহতের সংখ্যা ৭৭০ জন ছাড়িয়েছে। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত হামলায় মোট প্রাণহানি পৌঁছেছে প্রায় ৫৭,৬০০ জনে।
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনা এগিয়ে নিতে তারা ১০ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। তবে তারা বলছে, আলোচনা এখনো ‘কঠিন পর্যায়ে’ রয়েছে। হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল আলোচনায় ‘একগুঁয়েমি’ ও অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা তাহের আল-নুনু জানান, “আমরা সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। আমরা আমাদের জনগণের নিরাপত্তা, গণহত্যা বন্ধ এবং মানবিক ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি বাহিনী যেন এমনভাবে অবস্থান করে, যাতে ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার পথ মসৃণ হয়।
এদিকে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির "ভালো সম্ভাবনা" রয়েছে। তিনি বলেন, “এই সপ্তাহে বা পরের সপ্তাহে একটি সমঝোতা হতে পারে। তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। যুদ্ধ ও গাজার মতো বিষয়ে কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়।”
(ঢাকাটাইমস/১০ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন