পঞ্চমবারের মতো নৌকা পেলেন নসরুল হামিদ

পঞ্চমবারের মতো একক মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ৷ রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ঢাকা-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, ৭৫ এরপর এখানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু ছিল না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের কারারুদ্ধ করে। স্বাধীনতার আগে-পরের সময় থেকে কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংগঠন আমার বাবার হাতে গড়া। এলাকায় একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা ছিল আমাদের পরিবারের। আমি গর্ব করে বলতে পারি এটা এমন একটা আসন যেখানে আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং নেই।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমি যখন ২০০১ সালে নির্বাচন করি তখন একক প্রার্থী ছিলাম। পরবর্তীকালে যে নির্বাচন গুলো হয়েছে সেখানেও আমি একক প্রার্থী ছিলাম। এটা একটা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে তৈরি হয়েছে।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হামলা-মামলায় যখন কেরানীগঞ্জের জনপদ অস্থির সেসময়ের কথা স্মরণ করে নসরুল হামিদ বলেন, আমি সেই দুঃসময় গুলোতে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। আমাদের এখানে এমন একটা সাংগঠনিক অবস্থা আমরা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি যে পরস্পরের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক রয়েছে। যেকারণে সকলেই তার জায়গায় সন্তুষ্ট থেকে সাংগাঠনিক কাজ করে যেতে পারছে৷
সুগঠিত সংগঠনের অবস্থার কারণে তরুণ নেতৃত্ব যেমন সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রবীণেরাও নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাচ্ছে। আমার এলাকার সব পর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্যে পরস্পরের প্রতি একটা শ্রদ্ধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিগত ১৫ বছরের সময়ে কেরানীগঞ্জে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা তৈরি হয়েছে। যার কারণ দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে কেরানীগঞ্জে বসতি স্থাপন করছে বলে এসময় জানান নসরুল হামিদ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের বিপরীতে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে ছিল ৩ হাজার ৩৬২টি। তবে এর মধ্যে ১০টির মতো আসনে একক প্রার্থী ছিল। যার মধ্যে ঢাকা জেলায় একমাত্র একক প্রার্থী ঢাকা-৩ আসনে নসরুল হামিদ বিপু।
(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/জেএ/কেএম)

মন্তব্য করুন