রাজপথ ছেড়ে ভোটে বিএনপির তিন শরিক

জাহিদ বিপ্লব, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক দফা আন্দোলন করছে বিএনপিসহ শরিক দলগুলো। তবে, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপির তিন শরিকদল। এরই ধারাবাহিকতায় শরিক দলগুলোর কয়েকজন শীর্ষনেতা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বিএনপিসহ ৩৬টি দল সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও এর মধ্যে তিনটি দল অংশ নিচ্ছে নির্বাচনে। দলগুলো হচ্ছেÑ বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এবং বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি। এর মধ্যে কল্যাণ পার্টি এবং বিএমএল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।

এছাড়া, গণঅধিকার পরিষদে যুগ্ম আহবায়ক ড. মালেক ফরাজী ময়মনসিংহ-৭ আসন এবং সদস্য এস এম সাফি মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ এলডিপি (সেলিম) প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল গনি নির্বাচন করছেন মেহেরপুরের গাংনী থেকে। যদিও আব্দুল গনিকে প্রতারণার অভিযোগে এক সপ্তাহ আগে এলডিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদের মধ্যে কেউ তৃণমূল বিএনপি, কেউ বিএনএম আবার কেউ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন স্বতন্ত্রভাবে।

তবে, বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা এমন কোনো ঘটনার জন্ম না দিলেও সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হয়েই নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে চমক দেখিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জোরেসোরে শোনা গেলেও তিনি বিএনপি ছেড়ে কোথায় যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে, বিএনপির শরিক দলগুলোর একাধিক শীর্ষনেতা ঢাকা টাইমসকে জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়েছে। হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাপের মুখে নতি স্বীকার করে মীর জাফরের খাতায় নাম লেখাতে চাই না।

জোটের শরিক একটি দলের শীর্ষ নেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমপি হওয়ার নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি বেইমানি করলে বাবার আত্মা কষ্ট পাবে। আমার বাবা কখনো আপোষ করতে শিখেননি, আমাদেরও শেখাননি।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জোট ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ঢাকা টাইমসকে বলেন, এরা শুধু আমাদের সঙ্গে নয়, পুরো জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এদের আম-ছালা দুটোই যাবে। মীরজাফরদের জায়গা কোথাও হয় না। এরাও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৫ বছর এই সরকারের অবিচার, অত্যাচার দমন-পীড়ন সহ্য করে আসছি। আজ যখন আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সারাবিশ্ব যখন এই একদলীয় শাসকগোষ্ঠীকে ধিক্কার জানাচ্ছেÑ তখন শুধু ক্ষমতার প্রলোভনে জাতির সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করলেন ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :