গাজার খান ইউনিসে হামাসের স্নাইপারদের গুলিতে ৮ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:৪৭
অ- অ+

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউসিন এলাকা ঘিরে ফেলার পর হামাসের স্নাইপারদের গুলিতে প্রাণ গেছে ৮ ইসরায়েলি সেনার। একই সঙ্গে দুই ডজন ইসরায়েলি ট্যাংক ও সামরিক যান ধ্বংসের দাবি করেছে হামাস।

এদিন সকালে খান ইউনিস শহর ঘেরাওয়ের পর বাসিন্দাদের আরও দক্ষিণে সীমান্তের দিকে যেতে নির্দেশ দেয় দখলদার বাহিনী। এরপর থেকে ঘরবাড়ি ছাড়তে থাকেন খান ইউনিসের বাসিন্দারা।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর দুই মাস পর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ঘিরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে সেনারা।

মঙ্গলবার রাতে আল ক্বাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, আল ক্বাসাম ব্রিগেডের স্নাইপার যোদ্ধারা ৮ ইসারায়েলি সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং ২৪টি ট্যাংক সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধংস করেছে। খান ইউনিস ঘেরাওয়ের পর যে এলাকায় দখলদার বাহিনী অবস্থান নিয়েছিল সেখানে একটি বিল্ডিংয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন যোদ্ধারা। এতে সম্পূর্ণ বিল্ডিং ধসে যায়। এতে আরও ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার কারণে নিরাপদ অঞ্চল অসম্ভব বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক সংকট প্রবল থেকে প্রবল হয়ে উঠছে। গাজার দক্ষিণেও ইসরায়েলের কথিত নিরাপদ অঞ্চল গঠন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

জাতিসংঘের এক মুখপাত্রের বরাতে আল জাজিরা জানায়, গাজার দক্ষিণে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই। ইসরায়েলের হামলায় গাজার কোনো অংশই নিরাপদ নয়। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণেও বেসমারিক লোকালয়, হাসপাতাল, স্কুল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করছে।

জাতিসংঘ রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সির মুখপাত্র আদনান আবু হাসান বলেছেন, দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনায় আরও কয়েক হাজার পরিবার বাস্তচ্যুত হবে। রাফা সীমান্তে শরণার্থী সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সীমান্তে ঠেলে দিচ্ছে।

গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীর সংকটের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের রিলিফ এজেন্সির এই মুখপাত্র বলেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।

এদিকে ইসরায়েলকে থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরাক। ইরাকের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদ বাগদাদে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তিনি বলেন, অবরুদ্ধ গাজা ুউপকূলে মানবিক সহায়তা দিবে ইরাক।

এছাড়া জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ল এক বিবৃতি বলেছে, পূর্ব জেরুজালেমে বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপ যুদ্ধাপরাধের সমান। এটি আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে বিপন্ন করে তুলছে।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/এসআইএস/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মির্জাপুরে উদ্ধার হওয়া গরু ফিরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা চাইলেন এসআই
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর: তাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তবুও বহাল...
পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ফেরানো হবে রিশাদ ও নাহিদকে!
মেঘনায় অনুমোদনহীন ডেন্টালে জীবাণুযুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার, ছড়াচ্ছে হেপাটাইটিস বি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা