ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ জানালেন দেশের নারী অধিকার কর্মীরা

গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ- ২০২৩’। এ উপলক্ষে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের নারী অধিকার রক্ষায় সামাজিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিলিস্তিনে নারী-শিশু হত্যা বন্ধ ও ফিলিস্তিন মুক্তির দাবি জানিয়েছেন নারী অধিকার কর্মীরা। প্রতিবাদে যোগ দিয়ে তারা বলেন, বিশ্বের যে প্রান্তে যে যেখানে আছেন সাধ্য অনুযায়ী যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানাতে হবে। মানুষের আলোটা যাতে নিভে না যায় সে লক্ষ্যে জেগে ওঠার আহবান তাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেন, ডিসেম্বরে গোটা বিশ্বে ক্রিসমাস বা যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উদযাপিত হচ্ছে। পৃথিবীর এক প্রান্তে উদযাপন অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন মানুষ। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
সঙ্গীত শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান বলেন, আলো জ্বালিয়ে প্রতিবাদের মানে হলো অন্ধকারে যেন সবাই হারিয়ে না যাই।
নারী ও শ্রম অধিকার নেতা মোশরেফা মিশু বলেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা, এই সাম্রাজ্যবাদীর পতন না হলে যুদ্ধ থামবে না। গাজা উপত্যকায় গণহত্যার জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগিরা।
স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পাশে থাকতে চাই বলেও জানান মোশরেফা মিশু।
বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েল থেকে স্পাইওয়ার কেনাকাটার মাধ্যমে সারাবিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের সাথে অন্যায় করছে বলে মন্তব্য করেছেন নৃবিজ্ঞানী ও লেখক রেহনুমা আহমেদ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধ মানেই নারী ও শিশু আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু। অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে চাই না, আমরা ক্ষুব্ধ।
ইসরায়েলে নির্বিচারে হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত ৪০ হাজারের বেশি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে হতাহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু এবং নারী।
(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/এসআরপি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন