চুয়াডাঙ্গা-২

১৫ বছরে এমপি টগরের আয় বেড়েছে আর স্ত্রীর বেড়েছে সম্পদ

​​​​​​​দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৫১ | প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৭

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলি আজগার টগর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী গেল ১৫ বছরে এমপি টগরের আয় বেড়েছে আর স্ত্রীর বেড়েছে সম্পদ।

হলফনামা সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় টগর তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৫০৫ টাকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় এক কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৯১৪ টাকা।

নবম সংসদ নির্বাচনের সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৮ টাকার। বর্তমানে নগদ টাকাসহ তিনি ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ২৩৪ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।

এদিকে গত ১৫ বছরে ১০ গুণ সম্পদ বেড়েছে তার স্ত্রীর। ২০০৮ সালে তার স্ত্রীর নগদ ২০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৯ টাকাসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল এক কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯ টাকার। বর্তমানে তার স্ত্রী ১১ কোটি ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ১২৫ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তার স্ত্রীর নামে কোনো বাড়ি না থাকলেও বর্তমানে ঢাকায় পাঁচটি বহুতল বাড়ি রয়েছে বলে এমপি টগর তার হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় আলী আজগার টগর বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, কৃষিখাত থেকে ৪১ হাজার ২২৫ টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ব্যবসা থেকে ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬১০ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৯ টাকা, চাকরি থেকে আয় ২ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ও অন্যান্য ভাতাসহ ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৬ টাকা ও গাড়ি বিক্রয়ের লভ্যাংশ থেকে ৭৬ হাজার ৩৬৭ টাকা।

তিনি অস্থাবর সম্পদ হিসেবে দেখিয়েছেন নগদ ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৯০ টাকা, ব্যাংকে জমা ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৪৪ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ২৩ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকা, বাস, ট্রাক, যানবাহন থেকে আয় এক কোটি ২৫ লাখ ৬১ হাজার ১৪৭ টাকা, স্বর্ণ ৫০ হাজার টাকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী দুই লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্র এক লাখ ৮০ হাজার টাকার, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম ২১ লাখ ১১ হাজার ৩১৩ টাকা, একক মালিকানাধীন ব্যবসা এক কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৪ টাকা ও শিপিং পরিবহন ডিজাইন ফিস বাবদ ২০ লাখ টাকা।

এছাড়া তার স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি রয়েছে ২৮৬.৭০ শতাংশ, যার মূল্য ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ টাকা, এক কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৫ টাকা, ঢাকায় ৭ তলা ভবন যার মূল্য এক কোটি ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৩ টাকা এবং ঢাকার সাভারে ৯ তলা বাড়ি, যার মূল্য তিন কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকা।

তার স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ৬৬ হাজার ১৩ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৫২ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার আট লাখ ১৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র এক কোটি ৩৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৪ টাকা, স্বর্ণ পাঁচ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩ লাখ ২৫ হাজার ১০০ টাকা, আসবাবপত্র দুই লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ও ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৩২৬ টাকা।

এছাড়া তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৫ টাকার অকৃষি জমি, ঢাকায় ৭ তলা দালান যার মূল্য ৭১ লাখ ১৬ হাজার ২০৮ টাকা, দর্শনায় ৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন যার মূল্য দুই লাখ ৯৯ হাজার ৪০ হাজার টাকা, দর্শনায় তিন তলা দালান এক কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৪৬৯ টাকা, ঢাকায় দুই কোটি ৬০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং এক কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভবন রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :