খালেদা জিয়ার কেবিনে প্রবেশের চেষ্টাকারী যুবককে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ
শনিবার বিকাল ৪টা ৫৫মিনিট। রাজধানীর বারিধারায় এভারকেয়ার হাসপাতালের ভেতর এক যুবক ঘোরাফেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানায়, ‘খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই’, দেখা করা যাবে কি না? এরপর খালেদা জিয়ার কেবিনের দিকে প্রবেশের চেষ্টা চালায় ওই যুবক। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে ভাটারা থানা পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন, আটক ওই যুবক নাম সুজন। তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর চাঁদপুর এর ইন্তাজ মোল্লার ডাঙ্গী এলাকার ছোরাব হোসেনের ছেলে। চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলে এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রবেশ করে সুজন।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সুজনকে রিমান্ডে এনে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ইতোমধ্যে সুজনের কাছ থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে জলেও জানান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ভাটারা থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, সুজনকে গ্রেপ্তারের পর দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়ে পুলিশ অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অনুসন্ধান শেষে সুজনকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তিনি চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছেন।
এদিকে এঘটনায় বিএনপির একাধিক নেতারা এভারকেয়ার হাসতাপালে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে এই ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এটা কোনো ধরনের চক্রান্ত কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই।
(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/এইচএম/এআর)