গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিমউল্ল্যাহ

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১২ | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৮

শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিমউল্ল্যাহ চৌধুরী। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের রয়েল হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কলিমউল্ল্যাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কমার্স কলেজের সাবেক ভিপি। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পরিবারে স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধার বড় মেয়ে রুমানা সোলাইমান চৌধুরী বলেন, ‘২০১১ সালে বাবার পায়ে ইনফেকশন ধরা পড়ে। তার শারীরিক জটিলতা তখন থেকেই শুরু হয়। পায়ের ইনফেকশন আস্তে আস্তে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বারডেমসহ বিভিন্ন হাসপাতালে একাধিকবার অপারেশনসহ নানাভাবে চিকিৎসা করানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল। এরই মধ্যে হার্টে ব্লক ধরা পড়লে রিং পরানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন বাবা। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনি প্রচারে যান। হাঁটাহাঁটি হয়ত একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে বাবার কিডনি কাজ করছে না। প্রস্রাব ও রক্তে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে।’

কলিমউল্ল্যাহ চৌধুরীর স্ত্রী বিলকিস আক্তার চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিলকিস কলিমউল্ল্যাহ নামে পরিচিত।

বিলকিস কলিমউল্ল্যাহ বলেন, ‘উনার (কলিমউল্যাহ চৌধুরী) শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। গত রবিবার সকালে সর্বশেষ কথা বলেছিলেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত তার কোনো রেসপন্স নেই। মাঝে মধ্যে হাত নাড়িয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেগুলো বোঝা যায় না। আমরা কিছু বলার চেষ্টা করলে কোনো উত্তর মেলে না। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।’

রয়েল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে কর্তব্যরত ডা. ইমতিয়াজ উদ্দিন নাহিদ বলেন, ‘কলিমউল্ল্যাহ চৌধুরী মাল্টিঅর্গান ফেলিউর পেশেন্ট। হার্টসহ তার একাধিক অপারেশন হয়েছে। এর আগে তার ব্রেন স্ট্রোকও হয়েছে। বর্তমানে তার ব্লাড প্রেশার পাওয়া যাচ্ছে না, যা সেপ্টিসেমিয়া উইথ সেপ্টিক শক বলা হয়। এদিকে আবার ফুসফুসে নিউমোনিয়ার লক্ষণও রয়েছে।’

গত দুই মাসে কলিমউল্যাহ চারবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার চিকিৎসায় ছয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে। কিন্তু, রোগীর কোনো রেসপন্স নেই। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :