সুপার ফুড মিষ্টি আলু ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৭

সুপার ফুড মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু সুস্বাস্থ্যের খাজানা। মিষ্টি আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর শর্করা জাতীয় খাবার। মিষ্টি আলু বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য শস্য যা আদিকাল থেকে মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে মিষ্টি আলুকে খাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক যুগের কিছু প্রমাণ মিলেছে পেরুর গুহা থেকে। প্রায় ১০,০০০ বছর আগে সেখানে মিষ্টি আলু পাওয়া যেত বলে নিশ্চিত হয়েছেন গবেষকগণ।

ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৪৯২ সালে যখন বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তখন এই মিষ্টি আলুগুলোকে ইউরোপে নিয়ে যান। এরপর ষোড়শ শতকের দিকে স্প্যানিশদের মাধ্যমে মিষ্টি আলু পৌঁছে যায় ফিলিপাইনে। আফ্রিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও এই আলু পৌঁছে যায় পর্তুগীজ বণিকদের মাধ্যমে। ঐ সময়েই দক্ষিণ আমেরিকায় মিষ্টি আলুর চাষ শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং এখনো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে রয়েছে এই মিষ্টি আলুর চল।

মিষ্টি আলুতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার। এমনকী ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে এই খাবার। সেই কারণে শরীর থেকে ক্রনিক অসুখ এবং ফ্রি র‌্যাডিকেলস দূরে রাখতে মিষ্টি আলুর সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে।

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ফাইবার রয়েছে। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য মতে, একটি মিষ্টি আলুতে ১০০-এর বেশি ভিটামিন ‘এ রয়েছে, যা প্রতিদিনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, আমেরিকা ও আফ্রিকাসহ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে মিষ্টি আলু জন্মে থাকে। এসব দেশের মানুষের কাছে একটি প্রিয় খাদ্য উপাদানও বটে।

মিষ্টি আলুর বৈজ্ঞানিক নাম ইপোময়া বেটাটাস। মিষ্টি আলু বিশ্বের অধিক ফলনশীল ফসলের মধ্যে অন্যতম। এ ফসলটি অত্যধিক খরা সহিষ্ণু। মিষ্টি আলু ভাত ও আলুর চেয়ে অধিক পুষ্টিকর। মিষ্টি আলু প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে হালুয়া, পায়েশ, ফিরনি, চিপস, জ্যাম, জেলি, মিষ্টি, ভর্তা, তরকারি এসব তৈরি করা যায়। দুধের সঙ্গে মিষ্টি আলু মিশিয়ে খেলে অন্য রকম স্বাদ লাগে। মিষ্টি পাতা বা শাক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর তরকারি হিসেবে গ্রাম বাংলায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মিষ্টি আলু বিভিন্ন রঙের হয়, যেমন লাল, বেগুনি, কমলা, সাদা এবং হলুদ। মিষ্টি আলু আমাদের অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

মিষ্টি আলুতে পুষ্টি উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে: ভিটামিন ‘এ, ভিটামিন ‘সি, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, পেন্টোথেনিক এসিড, ভিটামিন ‘বি-৬, পটাসিয়াম, হজমকারক আঁশ, ফসফরাস. ভিটামিন ‘বি-২, ভিটামিন ‘বি-৩, ক্যারোটিন, পলিস্যাকারাইড। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গবেষণায় জানায়, একটি মিষ্টি আলুতে ১০০ টির বেশি ভিটামিন এ রয়েছে যা প্রতিদিনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

মিষ্টি আলুতে রয়েছে অনেক কার্বোহাইড্রেট। এছাড়া মিষ্টি আলুতে প্রোটিন, ক্যালোরি ও ফাইবারে ভরপুর। তাই হাড় শক্ত করা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী এই খাবার। আসুন জেনে নিন মিষ্টি আলু যেসব কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

ক্যানসার প্রতিরোধক

শুধু মিষ্টি আলুই নয়, সম্পূর্ণ উদ্ভিদটিই ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। রক্তবর্ণের মিষ্টি আলুগুলোতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং টিউমার প্রতিরোধী উপাদান, যা ভেষজ ওষুধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তাইওয়ানে মিষ্টি আলুর পাতাকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা হয়। এর উপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, মিষ্টি আলুর পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ, আলফা-ক্যারোটিন এবং বিটা-ক্যারোটিন, যা ফুসফুসের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে। উল্লেখ্য, ভিটামিন ‘এ সমৃদ্ধ যেকোনো খাবারই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা গেলে সহজেই ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি এড়ানো যায়। মিষ্টি আলুর ভিটামিন ‘এ এবং বিটা-ক্যারটিন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিটা ক্যারটিন প্রোসটেট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে থাকে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয়, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাকৃতিক চিনি কাজের শক্তি প্রদান করে অবসাদ, ক্লান্তি দূর করে থাকে। মিষ্টি আলুতে প্রাকৃতিকভাবে চিনি থাকলেও তা খুব ধীরে ধীরে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এতে শরীর শুধু শক্তির নিয়মিত জোগানই পায় না, শরীরে শক্তির ভারসাম্যও বজায় থাকে। এটি শর্করা হলেও বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টি আলু রক্তের সুগার মান সুস্থিতিতে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হ্রাস করতে বেশ উপযোগী। মিষ্টি আলুতে বেশ আঁশ আছে, এর গ্লাইসিমিক ইনডেক্স বেশ নিচুতে (৫০)। তবে এতে আরো কিছু উপাদান আছে এ জন্য রক্তের সুগার কমাতে এটি উপযোগী। আমাদের চর্বি কোষ থেকে উৎপন্ন হয় প্রোটিন হরমোন ‘এডিপোনেকটিন। যাদের ডায়েবেটিস তাদের শরীরে এডিপোনেক্টিন হরমোন নিচু এবং মিষ্টি আলুর নির্যাস টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে এডিপোনেকটিন মান তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ায়। তবে অতিরিক্ত পারিমাণ খেলে হীতে বিপরীত হতে পারে। তাই প্রতিদিন একটির বেশি মিষ্টি আলু খাওয়া উচিৎ নয়।

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে

মিষ্টি আলু ভিটামিন বি৬-এর একটি ভালো উৎস। এটি আমাদের শরীরে হোমোসাইস্টিন নামের কেমিক্যাল কমাতে সহায়তা করে। এই কেমিক্যাল হৃদরোগসহ নানা ধরনের অসুখের অন্যতম কারণ। পটাশিয়াম হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে, কিডনি সুরক্ষায় ও একে কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি৬ রয়েছে, যা রক্তের হমোসাইটিনিন ভেঙ্গে দিয়ে রক্তের ধমনী এবং শিরায় রক্ত চলাচল সচল রাখে। এর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রেখে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ইলেক্ট্রোলাইট হার্টবিট নিয়মিত রাখে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

মিষ্টি আলুতে ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ উপদান রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ফলে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ধমনী, রক্ত, হাড় ও মাংসপেশির সুস্থতায় ও স্নায়ুর সুষ্ঠভাবে কাজ করে। এ ছাড়া রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

আলসার প্রতিরোধ

পেটের পীড়ায়, পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধেও মিষ্টি আলুর জুড়ি মেলা ভার। শুধু তা-ই নয়, মিষ্টি আলু গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের আলসার রয়েছে তারা যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু রাখেন, তাহলে আলসার প্রতিকারে কাজ করে।

কিডনিকে সুস্থ রাখতে

মিষ্টি আলুতে পটাসিয়ামও পাওয়া যায়, যা স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখে। এর পাশাপাশি এটি কিডনিকে সুস্থ রাখতেও বিশেষ সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ

খেয়েও ওজন কমানো যায় ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। মিষ্টি আলুতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকলেও রয়েছে জটিল কার্বোহাইড্রেট, যা পুষ্টিগুণে পূর্ণতা দেয়। এতে রয়েছে স্থূলতা নিরাময়কারী উপাদান, যা দেহে চর্বি জমতে দেয় না।

ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে

ভিটামিন এবং খনিজগুলির ঘাটতি আমাদের দেহে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে যা পরে বিভিন্ন জ্বালাময় লক্ষণগুলোর দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়ামের কারণে মিষ্টি আলু ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলি অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক ব্যথা উভয়ের ক্ষেত্রেই অনেক কার্যকর।

রক্ত তৈরি করে

রক্তকোষ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা আছে এই আলুর। এতে আয়রন থাকে। ফলে তা লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়।

মস্তিষ্কের কাজে

মানব মস্তিষ্কে যে স্নায়ুকোষগুলির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, কারণ এর পটাশিয়াম দারুণ কাজ করে। স্মৃতিশক্তি, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ডি-র কারণে মেজাজ ঠিক থাকে।

হাঁপানির প্রকোপ কমে

সপ্তাহে কয়েক দিন রাঙা আলু খেলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শ্বাসপ্রশ্বাস ঠিকমতো চলে। ফলে হাঁপানির প্রকোপ কমে।

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে রাঙা আলু এই খাবারে অনেকটা পরিমাণে রয়েছে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। হাড়ের জন্য ভালো এই খাবার। এই বিষয়টা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।

ব্লাডপ্রেশার কমায় মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভালো পরিমাণে পটাশিয়াম। এবার এই পটাশিয়াম কিন্তু প্রেশার নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী হতে পারে। তাই এই খাবার আপনি নিয়মিত খেয়ে নিতেই পারেন।

শরীরচর্চায় মিষ্টি আলুর উপকারিতা

পটাসিয়াম শরীর গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। কারণ, এটি পেশী নিয়ন্ত্রণ, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। পটাসিয়ামের পাশাপাশি মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে।

পেটের রোগ উপসম

ইরিটিবেল বাউয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) এবং আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো পেটের রোগেও উপকারী। মিষ্টি আলুতে আরো রয়েছে প্রদাহরোধী গুণ। দেখা গেছে, মিষ্টি আলুতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা আছে, সেগুলো প্রদাহসূচকগুলো হ্রাসে সহযোগী।

রাতকানা রোগ প্রতিরোধ

রাতকানা রোগের ক্ষেত্রেও এর উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে প্রাণীর, বিশেষ করে খাসীর কলিজার সাথে মিষ্টি আলু খাওয়াতে হবে ।

বীর্য ধরে রাখে

বৃক্কের কার্যক্ষমতায় ঘাটতি বা কাঙ্ক্ষিত সময়ের আগেই বীর্যস্খলন-এর সমস্যায় এই উদ্ভিদ বেশ কার্যকরী। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মিষ্টি আলুতে যে সব ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, এগুলো ভারি ধাতু ও মুক্ত মূলকের সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করার ব্যাপারে বেশ সহায়ক। সুতরাং যারা সহবাসের সময় বীর্য ধরে রাখতে অক্ষম, তারা প্রতিদিন অন্তত একটি করে মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

মিষ্টি আলু যেভাবে খাবেন

সিদ্ধ করা মিষ্টি আলুতে সবচেয়ে ভালোভাবে পুষ্টি উপাদানগুলো পাওয়া যায়। খোসাসহ মিষ্টি আলুকে ১/২ টুকরা করে কেটে নিন। এবার একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে আলুর টুকরোগুলো ৭ মিনিট ধরে সিদ্ধ করুন। ৭ মিনিট সেদ্ধ করলে মিষ্টি আলুর সবচেয়ে ভালো স্বাদ পাওয়া যায় এবং এর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। যদি আরও একটু স্বাদ আনতে চান, তাহলে এর সাথে দারুচিনি, লবঙ্গ এবং জায়ফল দিয়ে নেবেন। এতে করে স্বাদ বাড়ার সাথে সাথে পুষ্টিগুণও বাড়বে। ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৫ মিনিট পুড়িয়েও খেতে পারেন মিষ্টি আলু। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এভাবে প্রস্তুতকৃত মিষ্টি আলুতে বিটা-ক্যারোটিন আলুর সর্বত্র সঠিক মাত্রায় অবস্থান নিতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/২৫ জানুয়ারি/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :