‘গুলির শব্দে ঘরে ঘুমাতে পারি না’

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষে আতঙ্কে আছেন তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা। ওই পারের গোলাগুলির শব্দে ঘরে ঘুমাতে পারছেন না তারা। সংঘর্ষে ওপার থেকে গুলির খোসা এসে পড়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েকটি গ্রামে। এ সময় গ্রামের লোকজন আশ্রয় নেয় নিরাপদ স্থানে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর মধ্যে যুদ্ধ চলছে কয়েকদিন ধরে।
শনিবার বাংলাদেশের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা নুর হোসেন মুঠোফোনে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। মিয়ানমারে তুমুল যুদ্ধ চলছে। প্রথম গুলি এসে পড়ার দুই মিনিটের মাথায় এসে পড়ে আরেকটি গুলি। এতে অসুবিধায় পড়ছি আমরা। ভয়াবহ আতঙ্কে ছেলে-সন্তান নিয়ে সারাদিন অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছি।’
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ঢাকা টাইমসকে জানান, ‘গোলাগুলির শব্দ এখনো শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমারের আর্মি তাদের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহী বাহিনীর সাথে গোলাগুলি করছে। তবে আমাদের সীমান্তে তেমন কোনো সমস্যা নেই।’
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একজোট হয়ে দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। টানা যুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের আরাকান রাজ্যেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সীমান্ত ফাঁড়ি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী দখলে নিয়েছে। দেশজুড়ে পাল্টাপাল্টি যুদ্ধে অনেক মানুষ হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে।
থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নাগরিকদের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি’ (ইউডব্লিউএসপি) শান রাজ্যের হোপাং শহরে চলতি মাসের শুরুর দিকে নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করেছে। এই রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে দুটি শহর দখল করেছে। এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্যের জেরে শান ও কাচিন সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে চীন সরকার।
(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এমএইচ/এসআইএস)

মন্তব্য করুন