ক্রিকেটার স্বর্ণার আইফোনসহ টাকা উদ্ধার, আসামি আযান গ্রেপ্তার

প্র্যাকটিসের দুটি মোবাইল এবং বাসায় চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের মামলায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার নাম মো. আল-আমিন দেওয়ান আযান।
বুধবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া আইফোনসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সকালে র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের দুটি আইফোনসহ সাড়ে তিন হাজার ডলার চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনার পর র্যাব ছায়া তদন্ত করতে থাকে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, আসামি আল-আমিন ঢাকা থেকে পালিয়ে দিনাজপুর আত্মগোপন করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় আইফোনসহ চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।”
এর আগে গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে প্র্যাকটিস করতে গিয়ে ক্রিকেটার স্বর্ণার একটি আইফোন ১৩ প্রো, একটি আইফোন ১৩ মিনি চুরি হয়। একইদিন তার বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় সাড়ে তিন হাজার ডলার, সাড়ে ছয় হাজার নগদ টাকা, জন্মসনদ, প্রাইম ব্যাংকের চেক বই ও প্রাইম ব্যাংকের ভিসা কার্ডসহ ব্যাগ চুরি যায়। এ অভিযোগে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন। চুরির ঘটনায় সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত মো. আল-আমিন দেওয়ান আযান অন্য নারী ক্রিকেটারের স্বামী। তারা একই ফ্ল্যাটে থাকতেন।
মামলার এজাহারে ক্রিকেটার স্বর্ণা আক্তার অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত মো. আল-আমিন দেওয়ান আযানকে বাসায় রেখে ২৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তেজকুনীপাড়া খেলাঘর মাঠে অনুশীলনে যান তিনিসহ তার তিন রুমমেট। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আল-আমিন দেওয়ান আযান মাঠে এসে আমাকে বলেন, তোমার মোবাইল ফোন কোথায়? আমি বলি আমার ব্যাগে। এরপর তিনি আমার ব্যাগ থেকে দুটি মোবাইল ফোন বের করে কিছুক্ষণ ছবি উঠিয়ে দুপুর ১২টার দিকে মাঠ থেকে চলে যান।
এরপর স্বর্ণা ব্যাগ চেক করে দেখেন, তার ব্যাগে থাকা আইফোন ১৩ প্রো (যার মূল্য এক লাখ ১৮ হাজার টাকা) এবং আইফোন ১৩ মিনি (যার মূল্য ৮১ হাজার টাকা) নেই।
স্বর্ণা আক্তার আরও অভিযোগ করেন, “আমার অন্য রুমমেটের ফোন থেকে দুটি মোবাইল নম্বরে ফোন করলে বন্ধ পাই। মাঠের অনুশীলন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি ফ্ল্যাটের মূল দরজা লক করা। বাসার দারোয়ানকে ডেকে তালা ভেঙে দরজা খুলে বাসার ভেতর প্রবেশ করে দেখতে পাই রুমের সমস্ত জিনিস এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। আমার ওয়ারড্রবের ড্রয়ারের তালা ভেঙে সাড়ে তিন হাজার ডলার চুরি করে নিয়ে গেছে।”
(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এসএস/এফএ)

মন্তব্য করুন