উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, কাউখালীতে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা

সৈয়দ বশির আহম্মেদ, পিরোজপুর
| আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৪ | প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯

এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ মে। এরপর ১১ মে দ্বিতীয়, ১৮ মে তৃতীয় ও ২৫ মে চতুর্থ ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে দলীয় পরিচয়ের বাইরেও অনেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় প্রচারণা শুরু করেছেন।

চেয়ারম্যান পদে ৮ জন সম্ভাব্য প্রার্থী ইতোমধ্যে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরছেন এবং ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে দোয়া কামনা করছেন। বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে প্রার্থিতা জানান দিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ এলাকার ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের এমন আগাম প্রচারে সরব হয়ে উঠেছে পুরো কাউখালী উপজেলা।

এদিকে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরাও তাদের পছন্দের ব্যক্তির জন্য দোয়া চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিছু কিছু প্রার্থী উঠান বৈঠক ও কর্মী সমাবেশও শুরু করছেন।

আসন্ন নির্বাচনে কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিঞা মনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস শহীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিল্টন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মামুন হোসাইন বাবলু জমাদ্দার ও সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ। এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দুইবারের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন- কাউখালী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মৃদুল আহম্মেদ সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও কাউখালী পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপুল বরণ ঘোষ, সাংবাদিক হাফেজ মাছুম বিল্লাহ ও জাতীয় ছাত্র সমাজ (জেপি) কাউখালী উপজেলার শাখার সভাপতি মো. শামীম হোসেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার হাদিয়া, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি শাহিদা হক, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ইয়াসমিন পপি ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক কাশমীরি পারভীন ঝুমুর।

সরেজমিন কাউখালী উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, তফশিল ঘোষণা না হলেও উপজেলার সকল ইউনিয়নে নির্বাচনি হাওয়া বইতে শুরু করেছে। প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের গায়েও লেগেছে নির্বাচনি হাওয়া।

তবে ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। তাদের মতে, নির্বাচন এলেই কেবল নেতাদের পা পড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের আনাগোনা বেড়ে যায়। নির্বাচন চলে গেলে এসব নেতারা আমাদের আর খোঁজখবর রাখে না। তবে এবারের নির্বাচন প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নির্বাচন হবে বলে জানান তারা। কারণ দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হলে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভোট দিতে পারবেন বলে জানান তারা।

উল্লেখ্য, ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে কাউখালী উপজেলা পরিষদ গঠিত। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬২২৭১। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩১০১২ জন ও মহিলা ভোটার ৩১২৫৮ জন।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :